ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

বশেমুরবিপ্রবিতে সাপের উপদ্রব, আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা

বশেমুরবিপ্রবি সংবাদদাতা  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:২২, ১১ এপ্রিল ২০২২   আপডেট: ১৫:৩৭, ১১ এপ্রিল ২০২২
বশেমুরবিপ্রবিতে সাপের উপদ্রব, আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাপ আতঙ্ক

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবিতে) বেড়েই চলেছে সাপের উপদ্রব। সম্প্রতি, ক্যাম্পাসের বিভিন্ন রাস্তা, মাঠ, স্কুল, লেকপাড় ও হল সংলগ্নস্থানের বিভিন্ন জায়গায় দেখা মিলছে বিষধর সাপের। এর আগে গত বছরের শীতকালে ক্যাম্পাসে প্রথম এমন সাপের উপদ্রব লক্ষ করা যায়।

সর্বশেষ রোববার (১০ এপ্রিল) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল সংলগ্ন রাস্তা ও স্বাধীনতা দিবস হলের সামনে গোখরা প্রজাতির সাপের দেখা মিলেছে। এতে করে আতঙ্কে রয়েছেন শিক্ষার্থীরা। 

এদিকে নিরাপদ চলাচল ও সাপের বিষ নিবারক ভ্যাকসিনের জন্য গত নভেম্বরে রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদন করেছিলেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আবেদনপত্রে ক্যাম্পাসের ঝোপঝাড় মুক্ত ও জেলা সদর হাসপাতালে এন্টিভেনম (Anti-Venom) ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য আবেদন করা হয়। আবেদনপত্রের পরিপ্রেক্ষিতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুবের নির্দেশে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় কার্বলিক এসিড দেওয়া হয়।

তবে বিভিন্ন জায়গায় সাপের প্রজননক্ষেত্র থাকায় প্রতিনিয়ত সাপের দেখা মিলছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।  
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিসম্পদ বিজ্ঞান ও ভেটেরিনারি মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক মো. শরিফুজ্জামান বলেন, এর আগেও একাধিকবার সাপের উপদ্রবের কথা জানা গেছে৷আসলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ঝোপঝাড়ে এদের চলাচল। বিশেষ করে এদের প্রজননক্ষেত্র বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় হওয়ায় প্রায়ই এদের দেখা মিলছে। 

এ ছাড়াও, বিশ্ববিদ্যালয়ে মালীদের সংখ্যা যথেষ্ট না থাকায় ও তাদের অবহেলায় ঝোপঝাড় পরিষ্কার না রাখায় শিক্ষার্থীরা সাপের মুখোমুখি হচ্ছেন বলে তিনি মনে করেন।

শেখ রাসেল হলের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, বিষধর যে সাপগুলোর দেখা মিলছে, বয়স ৪-৫ মাসের কম নয়। এর মানে ক্যাম্পাসে কোনো মা সাপ অনেকগুলো ডিম ফুটিয়েছে, ফলে উপদ্রব বেশিই দেখা দিচ্ছে। কোনো ধরনের বিপদ ঘটার আগে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। 

উল্লেখ্য, গোখড়া প্রজাতির সাপের বিষ মূলত একটি শক্তিশালী-সিনাপটিক নিউরোটক্সিন এবং কার্ডিওটক্সিন সমৃদ্ধ বিষ। যা দংশনের ৪০-৫৫ মিনিটের মধ্যে মানুষের মৃত্যু হয়ে থাকে। এ বছরের শুরু থেকে এপর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় এই প্রজাতির ১০টির বেশি সাপ মারা হয়েছে।

রাশেদ/মাহি

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়