অনশনে জগন্নাথের আন্দোলনকারীরা
সংহতি জানালেন সাবেক শিক্ষার্থীরা, উপস্থিত বিএনপি নেতারাও
জবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

চলমান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও বিএনপির নেতারা।
শুক্রবার (১৬ মে) সন্ধ্যা ৬টায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দক্ষিণ পাশে কাকরাইল মসজিদের সামনে অবস্থান ও অনশনরত শিক্ষার্থীদের মাঝে উপস্থিত হয়ে সংহতি জানান কেন্দ্রীয় যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মাওলা শাহীন এবং জবি ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হামিদুর রহমান হামিদ।
তারা বলেন, “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো অত্যন্ত যৌক্তিক। দীর্ঘদিন ধরে তারা এ সংকট নিরসনের দাবি জানিয়ে আসছে। আমরা তাদের সঙ্গে একমত। সরকারকে বলবো, দ্রুত জবির শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিন।”
সম্প্রতি তথ্য উপদেষ্টার দিকে পানির বোতল ছোড়ার ঘটনায় আটক হওয়া জবি শিক্ষার্থীর মুক্তির দাবিও জানান তারা। নেতারা বলেন, “যদি তাকে অবিলম্বে মুক্তি না দেওয়া হয়, তাহলে এই তিন দফা আন্দোলন চার দফায় রূপ নেবে।”
শুক্রবার (১৬ মে) বিকেল থেকে অনশন শুরু করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এর আগে প্রায় ৫০ ঘণ্টা ধরে ওই স্থানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইস উদ্দিন বলেন, “এ দেশের প্রত্যেকটা নাগরিক তাদের অধিকার প্রত্যাশা করে। তিন দিন ধরে আমার শিক্ষার্থীরা খোলা আকাশের নিচে বসে দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন করছে। কিন্তু এখনো সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সমাধান আসেনি। অথচ চাইলে প্রথম দিনই তার সমাধান করা যেত।”
তিনি বলেন, “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় অবহেলিত, বঞ্চিত এটা ঐতিহাসিকভাবে সত্য। এই বৈষম্যের নিরসনের জন্য শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের দলমত নির্বিশেষে সব শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাই একাট্টা। সুতরাং আমাদের দাবি পূর্ণাঙ্গরুপে মানতে হবে। আমরা এমন একটি পর্যায়ে উপস্থিত হয়েছি, এখান থেকে ব্যাকে যাওয়ার সুযোগ নেই। তাই সবার সহযোগিতা ও অংশগ্রহণ চাই।”
শিক্ষার্থীদের চার দাবি
১. আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে আবাসন বৃত্তি কার্যকর করতে হবে
২. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করেই অনুমোদন করতে হবে
৩. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে
৪. শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার তদন্ত ও দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
ঢাকা/লিমন/সাইফ