ঢাকা     শুক্রবার   ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

কুবির নতুন ক্যাম্পাসের জমি ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগ, তথ্য চেয়েছে দুদক

কুবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৩৮, ২৬ জুলাই ২০২৫   আপডেট: ১৬:৪০, ২৬ জুলাই ২০২৫
কুবির নতুন ক্যাম্পাসের জমি ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগ, তথ্য চেয়েছে দুদক

ফাইল ফটো

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) সম্প্রসারিত ক্যাম্পাসের জমি ক্রয়, শূন্যপদে নিয়োগসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগের পরিপ্রক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

শনিবার (২৬ জুলাই) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন এবং দুদকের কুমিল্লা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন:

চিঠি থেকে জানা গেছে, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন ক্যাম্পাসের জমি ক্রয়, জনবল নিয়োগ এবং প্রশাসনিক নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের কুমিল্লা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাসুম আলী এবং উপ-সহকারী পরিচালক মো. এমরান খানের সমন্বয়ে একটি এনফোর্সমেন্ট টিম গঠন করা হয়েছে। সেই এনফোর্সমেন্ট টিম গত ২০ জুলাই (রবিবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র চেয়ে চিঠি দেয়।

চিঠিতে দুদক কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস নির্মাণের লক্ষে কত একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে, কি প্রক্রিয়ায় অধিগ্রহণ করা হয়েছে, অধিগ্রহণের জন্য কত টাকা বরাদ্দ ছিল, কত টাকা পরিশোধ করা হয়েছে এবং সম্প্রতি ১২টি ক্যাটাগরিতে ২২টি শূন্য পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার নম্বরপত্র ইত্যাদি রেকর্ডপত্র সাত কার্যদিবসের মধ্যে জমা দিতে বলা হয়েছে। 

এ বিষয়ে দুদকের কুমিল্লা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, “আমাদের কাছে জমি ক্রয়, জনবল নিয়োগে দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ এসেছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা একটা এনফোর্সমেন্ট টিম গঠন করেছি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার বরাবর কিছু রেকর্ডপত্র চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, “আমাদের কাছে দুদকের একটি চিঠি এসেছে। সেই চিঠির নির্দেশনা মোতাবেক সাত কার্যদিবসের মধ্য আমরা রেকর্ডপত্র পাঠাব।”

২০২১ সালের মে মাসে সম্প্রসারণসহ অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে অধিগ্রহণ করা ১৯৪.১৯ একর জমির জন্য তৎকালীন জেলা প্রশাসকের কাছে ৪৭১ কোটি ১১ লাখ ২২ হাজার ৫৬ টাকার চেক হস্তান্তর করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে সেই জমি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেছে জেলা প্রশাসন।

ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়