ঢাকা     বুধবার   ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ২ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

রাবি শিক্ষকের বাসার তালা ভেঙে স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা চুরি

রাবি প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:১২, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫  
রাবি শিক্ষকের বাসার তালা ভেঙে স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা চুরি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কোয়ার্টারে এক শিক্ষকের বাসা থেকে দুই ভরি স্বর্ণের গয়না, ল্যাপটপ ও মোবাইলসহ নগদ টাকা চুরি হয়েছে। 

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও থানা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

আরো পড়ুন:

এর আগে, সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিমপাড়ায় অবস্থিত শিক্ষক কোয়ার্টারের প-৩৪ নম্বর বাসায় এ চুরির ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী শিক্ষক হলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রকৌশল বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক ড. সাবিনা ইয়াসমিন। তিনি তার দুই মেয়েকে নিয়ে ওই বাসায় থাকতেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সোমবার রাত প্রায় দেড়টার দিকে রাজশাহীতে হঠাৎ প্রচণ্ড গতিতে ঝড়ো বাতাস শুরু হয়। তখন ভুক্তভোগী শিক্ষক তার মেয়েদের নিয়ে বাসায় দ্বিতীয় তলায় ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন। এই সুযোগে ওই বাসার দরজার গ্রিল ভেঙে চোর বাসার ভেতরে প্রবেশ করে দুইটি ল্যাপটপ, দুই ভরি সোনার গহনা, দুইটি মোবাইল, নগদ ৫০ হাজার টাকা, পোশাকসহ অনেককিছু চুরি করে নিয়ে যায়। এছাড়াও বাসার সবকিছু এলোমেলো করে রেখে যায় চোর চক্রের সদস্যরা।

ভুক্তভোগী শিক্ষক ড. সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, “গতকাল সোমবার আনুমানিক রাত দেড়টার দিকে আমার বাসার দরজা ভেঙে চোর প্রবেশ করে। এ সময় আমার বাসায় থাকা দুইটি ল্যাপটপ, দুইটি মোবাইল ফোন, দুই ভরি সোনার গহনা, নগদ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। এছাড়াও আমার ছেলে মেয়েদের স্কুল ব্যাগ, কাপড়চোপড়সহ অনেককিছুই তারা নিয়ে গেছে। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার আইডি কার্ড ও এনআইডি কার্ড নিয়ে গেছে।”

তিনি বলেন, “তারা যাওয়ার সময় একটা স্ক্রু ডাইভার তারা রেখে গেছেন। এই ঘটনা নিয়ে আমি থানায় অভিযোগ করেছি। পরে পুলিশ এসে তা সংগ্রহ করে নিয়ে গেছে।”

তিনি আরো বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আবাসিক এলাকায় এমন চুরির ঘটনা আসলেই মেনে নেওয়া যায় না। এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। যদি নিরাপত্তা না থাকে, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য কোয়ার্টার থাকার প্রয়োজন নেই।”

লিখিত অভিযোগের বিষয়ে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মালেক বলেন, “আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আমাদের একটি টিম সেখানে গিয়েছিল, ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে আসছে। আমরা এ ঘটনা নিয়ে কাজ করছি।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বলেন, “ভুক্তভোগী শিক্ষক সকালেই আমাদের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। এরপরেই পুলিশ প্রশাসনেকে নিয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। পুলিশকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে আমাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। আশা করছি মোবাইল ফোন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে চোরদের সনাক্ত করতে পারবেন পুলিশ সদস্যরা।”

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়