ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ০২ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

সরকারের বলিষ্ঠ নেতৃত্বই অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার মূল শক্তি: ডিসিসিআই

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৫৮, ১ মার্চ ২০২১  
সরকারের বলিষ্ঠ নেতৃত্বই অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার মূল শক্তি: ডিসিসিআই

স্বল্পন্নোত দেশ (এলডিসি) থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের স্বীকৃতিতে অর্জন করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের গুরুত্বপূর্ণ শীর্ষ সংগঠন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। এতে বলা হয়েছে, সরকারের বলিষ্ট নেতৃত্বই অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার মূল চালিকাশক্তি। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে গত এক দশকে সামাজিক ও অর্থনীতির সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যুগান্তকারী অগ্রগতি করেছে। সোমবার (১ মার্চ) এক অভিনন্দন বার্তায় এসব কথা হয়েছে।

উল্লেখ্য, জাতিসংঘের ডেভেলপমেন্ট পলিসি (ইউএন সিডিপি) কমিটি তাদের দ্বিতীয় পর্যালোচনায় বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের সুপারিশ করেছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ৩টি মূল সূচক, মাথাপিছু আয় (১২৩০ মার্কিন ডলারের বিপরীতে ১৮২৭ মার্কিন ডলার), মানবসম্পদ (৬৬ পয়েন্টের বিপরীতে ৭৫.৩ পয়েন্ট) এবং অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা (৩২ পয়েন্টের চেয়ে কম ২৭ পয়েন্ট) সূচতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।

ডিসিসিআই এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, স্বল্পোন্নত ক্যাটাগরি থেকে উত্তরণের ক্ষেত্রে প্রতিটি দেশকেই বেশকিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও তা ব্যতিক্রম নয়। এলডিসিভুক্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ২০২৬ সাল পর্যন্ত ইউরোপসহ বেশ কিছু দেশে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা পাবে। তবে, এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশকে আইপিআর এবং ট্রিপস চুক্তির আওতায় শর্তাবলি ও শিল্পের কমপ্লায়েন্সের মেনে চলার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। উপরন্তু মধ্যম আয়ের দেশে হিসেবে রপ্তানি বাজারে অন্যান্য মধ্যম আয়ের দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিযেগিতার মুখোমুখি হতে হবে। পাশাপাশি উন্নত দেশগুলো থেকে প্রাপ্ত অগ্রাধিকার ও বিশেষ সুবিধা কমে আসবে, রপ্তানির বাজারে সম প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পাবে, বিভিন্ন খাতে ভর্তুকি হ্রাস পাবে এবং ছোট ছোট স্থানীয় শিল্পে সহায়তা কমে আসতে পারে। 

মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায়, ঢাকা চেম্বার বাণিজ্যিকভাবে সম্ভাবনাময় দেশেগুলোর দ্বি-পাক্ষিক মুক্ত বাণিজ্যচুক্তি, অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্যচুক্তি অথবা আঞ্চলিক বাণিজ্যচুক্তি স্বাক্ষর করার আহ্বান জানিয়েছে ডিসিসিআই। একইসঙ্গে বাণিজ্য মধ্যস্থতায় দক্ষতা অর্জন, ট্রিপস চুক্তির শর্তাবলি বাস্তবায়নের প্রস্তুতি গ্রহণ করা, হাই ভ‌্যালু প্রডাক্ট ডিজাইন ও ইনোভেশন সেন্টার স্থাপন, আন্তর্জাতিক মান স্বীকৃতি গ্রহণে সহায়তা করা, দক্ষিণপূর্ব এশিয়া ও আফ্রিকার বাজার অন্বেষণ, এফডিআই আকর্ষণে সংশ্লিষ্ট নীতিমালা ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার, রাজস্ব কাঠামোর অটোমেশন ও আধুনিকায়ন, কর-জিডিপি’র অনুপাত বাড়ানো, সাপ্লাই চেইন ও লজিস্টিক ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা বাড়াতে  প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।

ঢাকা/শিশির/এনই

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়