ঢাকা     মঙ্গলবার   ০৮ জুলাই ২০২৫ ||  আষাঢ় ২৪ ১৪৩২

কোটা সংস্কারের দাবি

শুক্রবার বিক্ষোভ, সংসদে আইন পাস না করা পর্যন্ত আন্দোলন

নিউজ ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:২৫, ১১ জুলাই ২০২৪   আপডেট: ২২:২৫, ১১ জুলাই ২০২৪

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা এবার বিক্ষোভের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। শুক্রবার (১২ জুলাই) সারা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান-ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, কোটাব্যবস্থা সংস্কার করে সংসদে আইন পাস না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) ‘বাংলা ব্লকেড’ পালনের সময় বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে শুক্রবারের বিক্ষোভ পালন করা হবে। আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়কারী নাহিদ ইসলাম রাত ৯টার দিকে শাহবাগ মোড়ে সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন।

নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ হাসান বলেন, আমরা সব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাবো, নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব কিন্তু আপনাদের। আপনারা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। আমাদের ওপর হামলাকারীদের বিচারের আওতায় আনুন। আমাদের ওপর যে হামলা হয়েছে তার প্রতিবাদে আগামীকাল আমরা সারা দেশের সব ক্যাম্পাসে বিকেল ৪টায় বিক্ষোভ মিছিল করবো।

হামলা চালিয়ে ও ভয় দেখিয়ে আন্দোলন দমন করা যাবে বলে উল্লেখ করেন নাহিদ। তিনি বলেন, সংসদে জরুরি অধিবেশন ডেকে কোটার যৌক্তিক সংস্কার করে চূড়ান্তভাবে কোটা সমস্যার সমাধান করতে হবে। শুধু প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরি নয়, সব সরকারি চাকরিতে অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য ৫ শতাংশ কোটা রেখে বাকি সব পদে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে।

বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ৪ ঘণ্টা রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করার পরে রাতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা

আন্দোলনকারীদের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে নাহিদ ইসলাম বলেন, কোথাও আন্দোলনে বাধা দেওয়া হলে সম্মিলিতভাবে তা মোকাবিলা করা হবে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে জনগণের যে ভোগান্তি হচ্ছে, তার দায় সরকারের। সরকার কোটার যৌক্তিক সংস্কার করলে তাদের এই আন্দোলন করার প্রয়োজন পড়ত না। তাদের আন্দোলনে জনগণের সমর্থন রয়েছে।

আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, হাইকোর্টের আংশিক রায়ে একটি বিষয় পরিষ্কার হয়েছে। হাইকোর্টের আংশিক রায়ে বলা হয়েছে, সরকার চাইলে কোটার সংস্কার করতে পারে। এ বিষয়টিই আজ স্পষ্ট হয়েছে। যদি তাই হয়, তাহলে শেকৃবিতে কেন লাঠিচার্জ করা হলো? শাবিপ্রবিতে হামলা করা হয়েছে, চবিতে নারী শিক্ষার্থীদের ওপর নারী পুলিশ হামলা করেছে, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা হয়েছে, রাবিতে ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে। মাভাবিপ্রবিসহ অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা করা হয়েছে। যারা হামলা করেছে তারা অতি উৎসাহী। সেই পুলিশদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। আমরা মনে করি, এতে সরকারেরই ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। আপনারা এতদিন আমাদের বলেছেন, আদালতের প্রতি ভরসা রাখতে। এখন আদালত আপনাদের দায়িত্ব দিয়েছে সেটি আপনারা পালন করুন।

এর আগে, বিকেল ৫টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর একটি মিছিল ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে শাহবাগে যায় এবং শাহবাগ অবরোধ করে।

/এনএইচ/

ঘটনাপ্রবাহ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়