ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ০৯ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২৬ ১৪৩১

আ.লীগ নেতাকে খুন করে মরদেহ পোড়ানোর মামলার রায় ১৮ অক্টোবর

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৪০, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০  
আ.লীগ নেতাকে খুন করে মরদেহ পোড়ানোর মামলার রায় ১৮ অক্টোবর

ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার কোন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাবেক আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা আতিক উল্ল্যাহ চৌধুরী হত্যা মামলার রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে আগামী ১৮ অক্টোবর ধার্য করেছেন আদালত।

বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে এদিন ঠিক করেন।

গত ১০ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর ধার্য করেন। কিন্তু এদিন তা পিছিয়ে ১৮ অক্টোবর ধার্য করা হয়।

মামলায় আসামিরা হলেন- গুলজার হোসেন, শম্পা, আশিক, শিহাব আহম্মেদ ওরফে শিবু, আহসানুল কবির ইমন, তাজুল ইসলাম তানু, জাহাঙ্গীর খাঁ ওরফে জাহাঙ্গীর এবং রফিকুল ইসলাম ওরফে আমিন ওরফে টুন্ডা আমিন।

আসামিদের মধ্যে শম্পা, জাহাঙ্গীর ও আহসানুল কবীর কারাগারে আছেন। গত ১০ আগস্ট আদালত জামিন বাতিল করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। অপর আসামিরা পলাতক রয়েছেন।

২০১৩ সালের ১০ ডিসেম্বর নিখোঁজ হন মুক্তিযোদ্ধা ও ইউপি চেয়ারম্যান আতিক উল্ল্যাহ চৌধুরী। পরদিন ১১ ডিসেম্বর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের দোলেশ্বর এলাকার একটি হাসপাতালের পাশ থেকে তার আগুনে পোড়া বিকৃত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আসামিরা তাকে হত্যা করে এবং মরদেহ গোপন করার উদ্দেশ্যে আতিক উল্ল্যাহ চৌধুরীকে পুড়িয়ে ফেলে রাখে। পরে তার সঙ্গে থাকা কাগজ ও এটিএম কার্ড দেখে মরদেহ শনাক্ত করেন নিহত আতিক উল্ল্যাহর ছেলে সাইদুর রহমান ফারুক চৌধুরী।

ওই ঘটনায় আতিক উল্ল্যাহ ছেলে কোন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান ফারুক চৌধুরী দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে ৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৫ সালের ২ জুলাই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

ঢাকা/মামুন/জেডআর

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়