জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় জিয়া ছিলো মাস্টারমাইন্ড: সিটিটিসি
![জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় জিয়া ছিলো মাস্টারমাইন্ড: সিটিটিসি জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় জিয়া ছিলো মাস্টারমাইন্ড: সিটিটিসি](https://cdn.risingbd.com/media/imgAll/2022August/kongi-2211210650.jpg)
ছবি: সংগৃহীত
ঢাকার নিম্ন আদালত থেকে দুই জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার সঙ্গে জড়িতরা সবাই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বলে জানিয়েছে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)।
সিটিটিসি জানায়, এ ঘটনায় মেজর (বরখাস্ত) জিয়া ছিলো মাস্টারমাইন্ড।
পড়ুন: মৃত্যুদপ্রাপ্ত দুই আসামি ছিনতাই: ১০ জঙ্গি ১০ দিনের রিমান্ডে
সিটিটিসি কর্মকর্তারা বলছেন, আনসার আল ইসলাম কখনো রেকি ছাড়া পূর্ব প্রস্তুতি ছাড়া কোনো কিছু করে না। যেখান থেকে জঙ্গি দুই আসামি ছিনতাই করা হয়েছে, সেখানেও ছিলো না সিসিটিভি। ছিনতাইয়ে আনা হয়েছিল কাটার ও হাতকড়া খোলার চাবিও। ফেলে যাওয়া একটি মোটরসাইকেলসহ ঘটনাস্থল থেকে কাটার ও হাতকড়া উদ্ধার করার পরই এমন ধারণা করছেন সিটিটিসির কর্মকর্তারা।
সিটিটিসি প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আদালত প্রাঙ্গণ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া দুই জঙ্গিসহ জড়িতদের প্রত্যেককে শনাক্ত করে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে। এ লক্ষ্যে কাজ করছে ডিএমপি, ডিবি, সিটিটিসিসহ পুলিশের অন্যান্য ইউনিট।
পড়ুন: ২০ জঙ্গিকে আসামি করে থানায় মামলা
পুলিশের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় রোববার (২০ নভেম্বর) ১২ আসামিকে কোর্টে তোলা হয়। তাদের মধ্যে চার জঙ্গি ছিলো আনসার আল ইসলামের সদস্য।
এদিকে, পলাতক দুই জঙ্গিকে ধরতে ঘটনার পর পুলিশ, র্যাবের সঙ্গে সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও সীমান্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করছে। তবে সোমবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পলাতক জঙ্গিদের অবস্থান নিশ্চিত হতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। দুজনকে ধরতে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে সরকার।
উল্লেখ্য, রোববার (২০ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রধান ফটকের সামনে থেকে জেএমবির দুই সদস্যকে ছিনিয়ে নেয় জঙ্গিরা। মোটরসাইকেলে করে এসে তাদের ছিনিয়ে নেওয়া হয়। ছিনিয়ে নেওয়া ওই দুই জঙ্গি হলেন মইনুল হাসান শামীম ও আবু সিদ্দিক সোহেল।
পড়ুন: ঢাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক
/মাকসুদ/সাইফ/
আরো পড়ুন