ঢাকা     শনিবার   ২৭ জুলাই ২০২৪ ||  শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

অলিগলিতে পশুখাদ্য ও কোরবানির অনুষঙ্গের দোকান

নুরুজ্জামান তানিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৫১, ২৭ জুন ২০২৩   আপডেট: ১৩:০৫, ২৭ জুন ২০২৩
অলিগলিতে পশুখাদ্য ও কোরবানির অনুষঙ্গের দোকান

কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে জমে উঠেছে রাজধানীর পশুর হাটগুলো। ক্রেতারাও ভিড় করছেন হাটগুলোতে। সেই সঙ্গে পশুখাদ্যসহ কোরবানির অনুষঙ্গ বিক্রি হচ্ছে। ঈদকে কেন্দ্র করে কোরবানির হাটসহ অলিগলিতে পশুখাদ্য ও কোরবানির অনুষঙ্গের সম্ভার নিয়ে বসেছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। তবে আষাঢ় মাসের কারণে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে কোরবানির পশুখাদ্য ও অনুষঙ্গ কিনতে বেকায়দায় পড়ছেন ক্রেতারা।

মঙ্গলবার (২৭ জুন) রাজধানীর খিলগাঁও, বাসাবো, রামপুরা, মেরাদিয়াসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। এসব এলাকার পশুখাদ্যের ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোতে ১০ বছরের শিশু থেকে ৬০ বছরের বৃদ্ধরাও পণ্য বিক্রি করছেন। পিছিয়ে নেই নারীরাও।

বছরের অন্য সময়ে ভিন্ন পেশায় নিয়োজিত থাকলেও কোরবানির ঈদের আগে বাড়তি আয় করতে এ ব্যবসায় নেমেছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে, বিভিন্ন পণ্যের হকার, রিকশা-ভ্যান-ঠেলাগাড়িচালকরা পেশা পরিবর্তন করে এখন পশুখাদ্য বিক্রি করছেন। 

এসব ভ্রাম্যমাণ দোকানে পশুখাদ্য হিসেবে শুকনো খড়, খৈল, খড়ের ভুষি, গমের ভুষি, খেসারির ডালের ভুষি, ধানের কুঁড়া, কাঁচা ঘাস, কাঁঠালপাতা, চিটা গুড় ও মোটা লবণ বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, হোগলার চাটাই ও খাটিয়াও বিক্রি হচ্ছে দোকানগুলোতে।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রধান সড়কের পাশে, মোড়ে মোড়ে ও অলিগলিতে গড়ে উঠেছে ভ্রাম্যমাণ পশুখাদ্যের দোকান। কেউ খড়, কেউ ভুষি, কেউ কাঁঠালপাতা, কেউবা ঘাস, আবার কেউ খাটিয়াসহ কোরবানির অন্যান্য অনুসঙ্গ নিয়ে বসেছেন। 

এসব এলাকায় আঁটিপ্রতি কাঁচা ঘাস ২০-৬০ টাকা, শুকনো খড় ২০-৪০ টাকা ও কাঁঠালপাতা ৩০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি খৈল ৮০ টাকা, গমের ভুষি ৬০-৭৫ টাকা, খেসারি ডালের ভুষি ৬০-৮০ টাকা, ধানের কুঁড়া ৩০-৪০ টাকা, চিটা গুড় ১০০-১২০ টাকা ও মোটা লবণ ২০-২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, কোরবানির অনুষঙ্গ হিসেবে প্রতি পিস চাটাই ১৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং খাটিয়া আকারভেদে ৩০০-৮০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

দক্ষিণ বনশ্রী এলাকায় মহাসড়কে হাট সংলগ্ন ভ্রাম্যমাণ দোকান সাজিয়েছেন জোসনা আক্তার। তিনি বলেন, ঈদে বাড়তি আয়ের জন্য কয়েক দিন ধরে এ ব্যবসায় নেমেছি। ভালোই বিক্রি হচ্ছে। কোরবানির ঈদ শেষ হলে আবার পিঠা বিক্রি করব। তবে বৃষ্টির কারণে একটু সমস্যা হচ্ছে।

খিলগাঁও এলাকায় ভ্যানে কাঁঠালপাতা ও নেপিয়ার ঘাস বিক্রি করছিল ১০ বছর বয়সী সুমন মিয়া। সে বলে, চাচা ভ্যান সাজিয়ে দিয়েছে। আমি শুধু বিক্রি করছি। বিক্রি ভালোই হচ্ছে।

মেরাদিয়া হাটসংলগ্ন কোরবানির পশুখাদ্য ও অনুষঙ্গের ভ্রাম্যমান দোকান সাজিয়েছে লিটন হায়দার। তিনি বলেন, বৃষ্টির কারণে বেচা বিক্রি একটু কম। বৃষ্টি থমলে লোকজন বাড়বে।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়