ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ১১ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

অনৈক্যের ঐক্যে জুলাই সনদ: ‘হ্যাঁ, না’ ভোটের মুখে বাংলাদেশ

আসাদ আল মাহমুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০১:০১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫   আপডেট: ০১:০৪, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫
অনৈক্যের ঐক্যে জুলাই সনদ: ‘হ্যাঁ, না’ ভোটের মুখে বাংলাদেশ

২০২৫ সাল কেবল একটি ক্যালেন্ডার বছর নয়, এটি বাংলাদেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক রূপান্তরের সময়। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান রাষ্ট্রক্ষমতার চরিত্র, সংবিধানের কার্যকারিতা এবং গণতন্ত্রের বাস্তব চর্চা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তোলে। সেই প্রশ্নের প্রাতিষ্ঠানিক উত্তরণের প্রয়াস হিসেবেই আবির্ভূত হয়েছে জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫ ।

এই সনদ, তার বাস্তবায়ন আদেশ, একই দিনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট- সব মিলিয়ে বাংলাদেশ এক গভীর রাষ্ট্রীয় সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। জুলাই জাতীয় সনদকে ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতানৈক্য থাকলেও সরকার কঠোর ও দৃঢ় উদ্যোগের মাধ্যমে এর বাস্তবায়নে অগ্রসর হয়।

আরো পড়ুন:

ব্যাপক বিতর্ক, আলোচনা ও সমালোচনার মধ্য দিয়ে সনদটি কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেয়  অন্তর্বর্তী সরকার। ফলে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া বছরজুড়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে সবচেয়ে আলোচিত ও তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনাগুলোর একটি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে ওঠে।

গণঅভ্যুত্থান থেকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি
জুলাই জাতীয় সনদে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানকে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় জনগণের নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রামের ঐতিহাসিক বহিঃপ্রকাশ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

সনদে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, এই গণঅভ্যুত্থানের সাংবিধানিক ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে হবে এবং ওই সময়ে সংঘটিত সব হত্যাকাণ্ডের বিচার, শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান, শহীদ পরিবারকে সহায়তা ও আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। এই স্বীকৃতি কেবল প্রতীকী নয়, এটি রাষ্ট্রের দায় ও দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন নির্দেশ করে। অতীতে রাষ্ট্র যেখানে নাগরিক প্রতিরোধকে ‘অস্থিতিশীলতা’ হিসেবে দেখেছে, সেখানে জুলাই সনদ নাগরিক আন্দোলনকে রাষ্ট্র সংস্কারের বৈধ উৎস হিসেবে চিহ্নিত করে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও সনদ প্রণয়নের কাঠামো
জুলাই সনদ প্রণীত হয়েছে একটি বিস্তৃত ও বহুস্তরীয় প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে। সংবিধান সংস্কার, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, পুলিশ ও দুর্নীতি দমন- এই ছয়টি ক্ষেত্রে গঠিত সংস্কার কমিশনের সুপারিশ একত্রিত ও পর্যালোচনার জন্য গঠন করা হয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এই কমিশন ২০২৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কাজ শুরু করে এবং ৩৮টি রাজনৈতিক দল ও জোটের কাছে মোট ১৬৬টি সুপারিশ মতামতের জন্য পাঠায়।

দুই ধাপে আলোচনা, একাধিক বৈঠক ও অগ্রাধিকার নির্ধারণের মাধ্যমে শেষপর্যন্ত সর্বসম্মতভাবে ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫  গৃহীত হয়। এই প্রক্রিয়া সনদকে কেবল সরকারি দলিল নয়, বরং একটি রাজনৈতিক সমঝোতার দলিলে পরিণত করেছে।

দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ ও আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব
সনদের সবচেয়ে মৌলিক সাংবিধানিক প্রস্তাব হলো জাতীয় সংসদকে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট করা। বিদ্যমান নিম্নকক্ষের পাশাপাশি একটি উচ্চকক্ষ গঠনের কথা বলা হয়েছে, যা গঠিত হবে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে।

জাতীয় নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে উচ্চকক্ষের সদস্য নির্ধারিত হবে। এর উদ্দেশ্য তিনটি  হলো: সংসদে ভোটের ন্যায্য প্রতিফলন নিশ্চিত করা; ছোট রাজনৈতিক দল ও সংখ্যালঘু মতের প্রতিনিধিত্ব বাড়ান এবং সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে একটি অতিরিক্ত পর্যালোচনামূলক স্তর তৈরি করা।

সংবিধানের পঞ্চম ভাগে প্রয়োজনীয় সংযোজন ও সংশোধনের মাধ্যমে এই কাঠামো কার্যকর করার প্রস্তাব রয়েছে।

নির্বাচন, গণভোট ও জনগণের সরাসরি ক্ষমতা
২০২৫ সালের প্রস্তাবিত কাঠামোয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও জুলাই সনদ বাস্তবায়নসংক্রান্ত গণভোট একই দিনে অনুষ্ঠিত হওয়ার সিদ্ধান্ত একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। বাংলাদেশ এমন নজির নেই।

গণভোটে চারটি বিষয়ের ওপর একটি সম্মিলিত প্রশ্নের মাধ্যমে জনগণের অনুমোদন চাওয়া হবে। এটি একদিকে জনগণের সরাসরি মতামত গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করে, অন্যদিকে ভোটারদের ওপর জটিল সিদ্ধান্তের চাপও তৈরি করে।

অবশ্য গ্রাম ও প্রান্তিক অঞ্চলের ভোটারদের জন্য দ্বিকক্ষ সংসদ বা পিআর পদ্ধতির ধারণা কতটা বোধগম্য হবে- এই প্রশ্ন রাজনৈতিক বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছে।

জরুরি অবস্থা ও নির্বাহী ক্ষমতার সীমা
জুলাই সনদে ‘জরুরি অবস্থা’ ঘোষণার সাংবিধানিক কাঠামো পুনর্গঠনের প্রস্তাব রয়েছে। ‘অভ্যন্তরীণ গোলযোগ’ শব্দবন্ধের পরিবর্তে রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো নির্দিষ্ট শব্দ ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে।

এ ছাড়া জরুরি অবস্থা ঘোষণায় প্রধানমন্ত্রীর একক সিদ্ধান্তের পরিবর্তে মন্ত্রিসভার অনুমোদন বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব এবং জরুরি অবস্থাকালীন অন্তত দুটি মৌলিক অধিকার অলঙ্ঘনীয় রাখার সাংবিধানিক নিশ্চয়তা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটি নির্বাহী ক্ষমতার ওপর একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে।

বিচার বিভাগ সংস্কার ও আইনের শাসন 
জুলাই সনদে বিচার বিভাগকে প্রকৃত অর্থে স্বাধীন করার লক্ষ্যে একাধিক কাঠামোগত প্রস্তাব রয়েছে। অধস্তন আদালতের প্রশাসনিক ক্ষমতা সুপ্রিম কোর্টের অধীনে ন্যস্ত করা, একটি স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন এবং একটি স্বতন্ত্র ফৌজদারি তদন্ত সার্ভিস প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে।

এই প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়িত হলে বিচার বিভাগ নির্বাহী প্রভাব থেকে অনেকটাই মুক্ত হবে এবং নাগরিক আস্থার সংকট কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

দুর্নীতি দমন ও জবাবদিহি
জুলাই সনদে দুর্নীতিকে রাষ্ট্রীয় কাঠামোর অন্যতম প্রধান সংকট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ও কমিশনার নিয়োগে স্বচ্ছ বাছাই প্রক্রিয়া, কমিশনে নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা এবং উচ্চপর্যায়ের দুর্নীতি ও অর্থপাচার রোধে পৃথক আইন প্রণয়নের প্রস্তাব রয়েছে।

এ ছাড়া অবৈধ আয়ের বৈধতা দেওয়ার যেকোনো রাষ্ট্রীয় চর্চা স্থায়ীভাবে বন্ধ করার ঘোষণা সনদের একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিক।

জনপ্রশাসন ও সরকারি কর্ম কমিশন সংস্কার
সনদ অনুযায়ী একটি স্বাধীন ও স্থায়ী জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন গঠন করা হবে। পাশাপাশি তিনটি পৃথক পাবলিক সার্ভিস কমিশন (সাধারণ, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য) গঠনের প্রস্তাব রয়েছে। এর লক্ষ্য হলো নিয়োগ ও পদোন্নতিতে রাজনৈতিক প্রভাব কমানো এবং পেশাদারিত্ব বাড়ান।

সনদ বাস্তবায়ন আদেশের গেজেট প্রকাশ
২০২৫ সালের ১৩ নভেম্বর আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ থেকে ‘জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ ২০২৫’-এ রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সই করার করার পর সেটি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়।

এর আগে ওইদিন  দুপুরে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

ভাষণে তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে গণভোট হবে একই দিনে। চারটি বিষয়ের ওপর একটি প্রশ্নে হবে গণভোট হবে। তাতে ‘হ্যাঁ’ জয়ী হলে আগামী সংসদ হবে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট। সংসদ নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে (পিআর পদ্ধতি) ১০০ সদস্য নিয়ে উচ্চকক্ষ গঠিত হবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর ধরে ফ্যাসিবাদী শাসনের জাঁতাকলে পিষ্ট ছিল বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা। সেই দমবন্ধ করা রাজনৈতিক বাস্তবতার ভেতরেই ২০২৪ সালের জুলাই মাসে এক অভূতপূর্ব গণঅভ্যুত্থানের সূচনা হয়। ছাত্রদের নেতৃত্বে শুরু হওয়া এই আন্দোলন অল্পসময়ের মধ্যেই জনমানুষের সর্বস্তরে ছড়িয়ে পড়ে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দেশব্যাপী তীব্র গণচাপের মুখে ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিনের দমনমূলক ও ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান ঘটে।

জনগণের এই বিজয়ের ফলশ্রুতিতে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। এই গণঅভ্যুত্থান ছিল কেবল ক্ষমতা পরিবর্তনের আন্দোলন নয়, বরং এটি ছিল গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা এবং আইনের শাসন নিশ্চিত করার জন্য জনগণের দীর্ঘদিনের সংগ্রামের চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো যখন দলীয়করণ, দুর্নীতি ও স্বৈরতান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণের অধীনে পর্যবসিত হয়েছিল, তখন ছাত্র-জনতার এই ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ রাষ্ট্রকে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করে।

গণঅভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে স্থিতিশীল করা, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন এবং রাষ্ট্রীয় সংস্কারের রূপরেখা প্রণয়নের দায়িত্ব গ্রহণ করে। এই প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতায় জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংবিধান সংস্কার, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার এবং রাষ্ট্রীয় কাঠামো পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়, যার ফলে ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ প্রণীত হয়।

এই সনদ মূলত ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের রাজনৈতিক ও নৈতিক চেতনার প্রাতিষ্ঠানিক রূপ। এর মাধ্যমে রাষ্ট্র স্বীকার করেছে, জনগণের আন্দোলন কোনো বিশৃঙ্খলা নয়, বরং গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধারের বৈধ পথ। জুলাই গণঅভ্যুত্থান তাই বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে, যেখানে জনগণই রাষ্ট্র রূপান্তরের প্রধান শক্তি।

সংসদ নির্বাচন ও গণভোট ১২ ফেব্রুয়ারি
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে গণভোটও হবে একই দিন। ওই দিন সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলবে।

১২ ডিসেম্বর  জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।

তফসিল অনুযায়ী, সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ২৯ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ১১ জানুয়ারি এবং আপিল নিষ্পত্তি হবে ১২ থেকে ১৮ জানুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২০ জানুয়ারি। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ও প্রতীক বরাদ্দ করা হবে ২১ জানুয়ারি। নির্বাচনী প্রচার শুরু হবে ২২ জানুয়ারি, প্রচার শেষ হবে ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টায়। ১২ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে ৩০০ সংসদীয় আসনে ভোট গ্রহণ করা হবে।

ঢাকা-৮ আসনের ভোটার ও সাবেক সরকারি কর্মকর্তা আমানুর রহমান বলেন, “জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ কোনো নিখুঁত দলিল নয়। এতে ঝুঁকি আছে, বিতর্ক আছে, বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ আছে। তবে এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একটি গণঅভ্যুত্থানকে রাষ্ট্র সংস্কারের বৈধ ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করেছে।”

“এই সনদ বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ একটি অধিকতর অন্তর্ভুক্তিমূলক, ভারসাম্যপূর্ণ ও জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রের দিকে এগোতে পারে। ব্যর্থ হলে, এটি ইতিহাসে একটি হারানো সুযোগ হিসেবেই চিহ্নিত হবে। চূড়ান্ত রায় দেবে জনগণ ভোটকেন্দ্রে, ব্যালটের কাগজে, একটি ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ এর মাধ্যমে,” বলেন আমানুর রহমান।

ঢাকা/রাসেল

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়