বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ হতে আগ্রহী টেইট

বাংলাদেশ ক্রিকেটে ওটিস গিবসনের যাত্রা শুরু হয়েছিল বিপিএল দিয়ে, কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের কোচ হিসেবে। তারপরই তো জাতীয় দলের বোলিং কোচ হলেন তিনি। গিবসন অধ্যায় শেষ। তার পথে হেঁটে বাংলাদেশ ক্রিকেটে যুক্ত হতে চান অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পেসার শন টেইট।

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বোলিং কোচ হিসেবে বিপিএলে প্রথমবার যুক্ত হয়েছেন টেইট। গিবসন দায়িত্ব ছেড়েছেন কিছুদিন আগেই। তার ছেড়ে দেওয়া শূন্য পদে কাজ করতে আগ্রহী আফগানিস্তানের সাবেক পেস বোলিং কোচ।

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের এক ভিডিও বার্তায় ৩৮ বছর বয়সী সাবেক অস্ট্রেলিয়ান ফাস্ট বোলার জানিয়ে রাখলেন নিজের আগ্রহের ব্যাপারে, ‘অবশ্যই আমি বাংলাদেশের কোচ হতে আগ্রহী। তাদের হাতে অবশ্য সময় আছে, কাকে বেছে নেবে। তবে এটা অবশ্যই আমার জন্য দারুণ হবে।’

বিপিএলে এক মৌসুম খেলেছেন টেইট। তাকে উড়িয়ে এনেছিল চট্টগ্রাম কিংস। ওই মৌসুমেই বাংলাদেশ পেস অ্যাটাকে যুক্ত হন তাসকিন আহমেদ, যিনি বর্তমানে নির্ভরতার প্রতীক। টেইটের দলে আছেন মৃত্যুঞ্জয়, শরিফুল, মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ ও রাজার মতো তরুণ পেসাররা। তাদের নিয়ে কাজ করতে অধীর অপেক্ষায় টেইট,  ‘এই মুহূর্তে বাংলাদেশের ক্রিকেটে বেশ কিছু ভালো তরুণ ক্রিকেটার আছে, যারা ভবিষ্যতে দুর্দান্ত ক্রিকেটার হয়ে উঠতে পারে। আমাদের দলে তাদের বেশ কজন আছে। শরিফুল যেমন, আগ্রাসী বাঁহাতি বোলার। আমাদের দলেরও গুরুত্বপূর্ণ অংশ হবে সে। নিজেকে তুলে ধরার মতো যথেষ্ট ক্রিকেট সে খেলে ফেলেছে এর মধ্যেই। তাদের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আমি।’

নিউ জিল্যান্ডে শরিফুলকে বোলিং করতে দেখেছেন টেইট। বাঁহাতি পেসারকে নিয়ে তিনি নিজের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন এভাবে, ‘সফরটি বাংলাদেশের জন্য দারুণ ছিল, তার জন্য তো বটেই। সে আক্রমণ করতে পছন্দ করে, স্টাম্পে বল রাখে। তার উৎসাহ ও উদ্যম সহজেই চোখে পড়ে। দূর থেকে তাকে দেখেই তার সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ জাগে, কারণ ফাস্ট বোলিংয়ের প্রতি তার মানসিকতা দারুণ।’

আগামী দিনে বাংলাদেশ ভালোমানের পেসার পাবে বলে বিশ্বাস করেন টেইট, ‘এমনিতেও বাংলাদেশের ক্রিকেটে তরুণ ফাস্ট বোলার ও ক্রিকেটার উঠে আসছে। আগামী ৫-৬ বছর বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য হতে যাচ্ছে রোমাঞ্চকর।’