দারুণ জয়ে সিরিজে সমতা আনল বাংলাদেশ

স্কোর: শ্রীলঙ্কা ২৩২/১০ (৪৮.৫ ওভার)
বাংলাদেশ ২৪৮/১০ (৪৫.৫ ওভার)
ফলাফল: বাংলাদেশ ১৬ রানে জয়ী
সিরিজ: ১-১
জয়ের খাতা খুললেন ‘অধিনায়ক মিরাজ’
পাকাপাকি অধিনায়কত্ব পাওয়ার আগেই মেহেদী হাসান মিরাজ দায়িত্ব পালন করেছেন। আফগানিস্তানের বিপক্ষে এক ওয়ানডে, ওয়েস্ট ইন্ডিজে তিনটি। চার ওয়ানডেতে কোনো জয় ছিল না তার।
শান্তকে সরিয়ে মিরাজকে লম্বা সময়ের জন্য দায়িত্ব দিয়েছে বোর্ড। কিন্তু কলম্বোতে প্রথম ওয়ানডেতেও জয়ের ভাগ্য ফেরেনি তার। দ্বিতীয় ওয়ানডেও দল জয় পাবে কিনা তা পেণ্ডুলামে ঝুলছিল।
অবশেষে ১৬ রানের জয় ধরা দিল। অধিনায়ক মিরাজ জয়ের খাতা খুললেন।
বাংলাদেশের জয়ের নায়ক তানভীর
ছোট পুঁজি নিয়ে দারুণ লড়াই করে ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। ১৬ রানের জয়ের নায়ক স্পিনার তানভীর ইসলাম। নিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলতে নেমে ৫ উইকেট পেয়েছেন তানভীর। তাতেই মিলেছে ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
দুই স্পেলে বোলিং করে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট আদায় করে নিয়েছেন তিনি। কুশল মেন্ডিস, কামিন্দু মেন্ডিস, নিশান মাদুশঙ্কার উইকেট পেয়েছেন। জুটি ভাঙার কাজটা দারুণভাবে করেছেন। সঙ্গে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রান আটকেও রেখেছেন।
সাত ম্যাচ পর ওয়ানডেতে বাংলাদেশের জয়
এই ম্যাচের আগে ফল হওয়া সাত ম্যাচে কোনো জয় ছিল না বাংলাদেশের। গত বছর আগফানিস্তানের বিপক্ষে শারজাহতে হারের পর ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়ে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হয়।
ফেব্রুয়ারিতে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারত ও নিউ জিল্যান্ডের কাছে হেরে যায় বাংলাদেশ। সবশেষ কলম্বোতে প্রথম ওয়ানডেতে হার। সাত ম্যাচে টানা হারের পর প্রথম জয়ের দেখা পেল বাংলাদেশ।
রোমাঞ্চকর ম্যাচ জিতে সিরিজে সমতা আনল বাংলাদেশ
তানজিম হাসান সাকিবের লেন্থ বল উড়িয়ে মারতে চেয়েছিলেন চামিরা। আগের বলেই তার ক্যাচ ছেড়েছিলেন তানজিম। এবার সুযোগ নিলেন না। সরাসরি বোল্ড করে চামিরাকে আটকে দিলেন তানজিম। তার দ্বিতীয় উইকেটে শ্রীলঙ্কা হারাল দশম উইকেট। ২৩২ রানে অলআউট তারা।
বাংলাদেশ ম্যাচটি জিতে নিল ১৬ রানের ব্যবধানে। রোমাঞ্চকর এক ম্যাচ জিতে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-১ এ সমতা আনল বাংলাদেশ।
আগামী ৮ জুলাই পাল্লেকেল্লেতে হবে সিরিজের শেষ ম্যাচ।
ছক্কা হজমের পর মোস্তাফিজুরের প্রতিশোধ
শ্রীলঙ্কাকে একাই লড়াইয়ে রেখেছিলেন লিয়ানাগে। ১৮ বলে যখন ২৭ রান লাগত তখন মোস্তাফিজুর রহমানকে বিশাল ছক্কা হাঁকিয়ে সমীকরণ ২১ রানে নামিয়ে আনেন। কিন্তু পরের বলেই আউট ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
মোস্তাফিজের বাউন্সার অন সাইডে খেলতে গিয়ে হাওয়ায় ক্যাচ তোলেন। ফিরতি ক্যাচ নিয়ে বাংলাদেশের পথের কাঁটা দূর করেন মোস্তাফিজ। লিয়ানাগে ৮৫ বলে ৭৮ রান করে আউট হলেন।
শ্রীলঙ্কা হারাল নবম উইকেট। মোস্তাফিজ পেলেন প্রথম উইকেট।
নবম উইকেটে পঞ্চাশ রানের জুটি
হাসারাঙ্গা আউট হওয়ার পর অনেকেই আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন। এরপর থিকসানাও ফেরেন সাজঘরে। বাংলাদেশ জয়ের আভাস পাচ্ছিল। কিন্তু দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে লিয়ানাগে ও চামিরা নবম উইকেটে পঞ্চাশ রানের জুটি গড়েছেন। ৪৭ বলে তাদের জুটির রান পঞ্চাশে পৌঁছায়। এখন জয়ের স্বপ্ন দেখছে শ্রীলঙ্কা।
শ্রীলঙ্কার দারুণ লড়াই
শ্রীলঙ্কাকে লড়াইয়ে রেখেছেন লিয়ানাগে ও চামিরা। নবম উইকেট জুটিতে ৪৩ রান যোগ করেছেন তারা। তাদের লড়াকু ব্যাটিংয়ে লক্ষ্যে কাছাকাছি পৌঁছে গেছে শ্রীলঙ্কা।
তানভীরের রেকর্ড
১০ ওভার-২ মেডেন-৩৯ রান-৫ উইকেট।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের যে কোনো বোলারের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড এটি। কলম্বোতে এই বোলিংয়ের কীর্তি গড়েছেন তানভীর ইসলাম।
এর আগে স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক একবারই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫ উইকেট পেয়েছিলেন। ২০১৩ সালে পাল্লেকেল্লেতে ৬২ রানে ৫ উইকেট নেন। এক যুগ পর তানভীর ভাঙলেন তার রেকর্ড। এছাড়া আর কোনো বোলার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫ উইকেট পাননি।
লিয়ানাগের ফিফটি
ক্যারিয়ারের পঞ্চম ওয়ানডে ফিফটি পেলেন লিয়ানাগে। ৭৫ বলে ফিফটি ছুঁয়েছেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। মোস্তাফিজুর রহমানের বলে ২৮ রানে তার ক্যাচ ছেড়েছিলেন জাকের আলী। এখন শ্রীলঙ্কাকে জয়ের লড়াইয়ে রেখেছেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
তানভীরের ৫ উইকেট, অষ্টম উইকেট হারাল শ্রীলঙ্কা
নিজের বোলিং স্পেলের শেষ ওভার করতে এসে ফাইফারের স্বাদ পেলেন তানভীর ইসলাম। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তানভীর পেলেন ৫ উইকেটের দেখা।
তানভীরের উইকেটের ওপরের বলে ব্যাট ছুঁয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ দেন থিকসানা। পরিবর্তীত খেলোয়াড় রিশাদ হোসেন সহজে ক্যাচ নিয়ে তানভীরকে ফাইফারের স্বাদ দেন।
ইনিংসের শুরু থেকে দারুণ বোলিং করতে থাকেন তানভীর। ভয়ংকর কুশল মেন্ডিসকে ফেরান। মেন্ডিস ও মাদুশঙ্কার জুটি ভাঙার কাজটাও করেন। এরপর ফিরে এসে কামিন্দু মেন্ডিসের উইকেট নেন। দারুণ বোলিংয়ের পুরস্কার হিসেবে তার পকেটে গেছে ৫ উইকেট।
১০ ওভারে ২ মেডেনে ৩৯ রানে ৫ উইকেট নেন তানভীর।
ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান চামিরা।
আবার ক্যাচ ছাড়লেন জাকের
শামীমের বলে কামিন্দু মেন্ডিসের ক্যাচটা কঠিন ছিল। ধরতে পারেননি উইকেট রক্ষক জাকের আলী। কিন্তু মোস্তাফিজের বলে লিয়ানগের ক্যাচটা ছিল একেবারে হাতের নাগালে। কিন্তু উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান পারেননি বল গ্লাভসবন্দী করতে।
২৮ রানে লিয়ানাগে জীবন পেলেন। দ্বিতীয় জীবনে বাংলাদেশকে তিনি কতটা ভোগান সেটাই দেখার। কামিন্দু ৩২ রানে জীবন পাওয়ার পর মাত্র ১ রান যোগ করতে পারেন। তাকে আউট করেন তানভীর।
৫ ম্যাচ পর মিরাজের উইকেট, চাপে শ্রীলঙ্কা
২৪ রানের জুটিতে হাসারাঙ্গা ও লিয়ানাগে প্রতিরোধ গড়েছিলেন। তাদের এই জুটি ভাঙলেন অধিনায়ক মিরাজ।
অফস্পিনারের বল স্লগ সুইপ করতে গিয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ দেন ১৩ রান করা হাসারাঙ্গা। শ্রীলঙ্কা হারাল সপ্তম উইকেট।
৫ ম্যাচ পর বোলিংয়ে প্রথম উইকেট পেলেন মিরাজ। গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজে দুই ওয়ানডের পর চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারত ও নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে উইকেট শূন্য ছিলেন মিরাজ। কলম্বোতে প্রথম ওয়ানডেতেও ১০ ওভার হাত ঘুরিয়ে সাফল্য পাননি।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে অতি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট খরা কাটালেন মিরাজ। ফেরালেন হার্ডহিটার হাসারাঙ্গাকে। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান থিকসানা।
তানভীরের চতুর্থ উইকেট, চাপে শ্রীলঙ্কা
বাঁহাতি স্পিনার তানভীর নিজের চতুর্থ উইকেট পেলেন। শ্রীলঙ্কা হারাল ষষ্ঠ উইকেট।
তানভীরের এবারের শিকার দুনিথ ওয়েলালাগে। এগিয়ে এসে তানভীরের বল ব্লক করতে চেয়েছিলেন ওয়েলালাগে। বল তার ব্যাটে চুমু খেয়ে লাফিয়ে উঠে। বাকি কাজটা সারেন উইকেট রক্ষক জাকের আলী।
দ্রুত উইকেট হারিয়ে প্রবল চাপে শ্রীলঙ্কা। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান হাসারাঙ্গা।
তানভীর ফিরলেন, উইকেট পেলেন
নিজের প্রথম স্পেলে ৪ ওভারে ২৫ রানে ২ উইকেট পেয়েছিলেন তানভীর ইসলাম।২৬তম ওভারে তার হাতে আবারো বল তুলে দেন মিরাজ। অধিনায়কের পরিবর্তন কাজে এসেছে।
দ্বিতীয় স্পেলের দ্বিতীয় বলে তানভীর পেলেন তৃতীয় উইকেটের স্বাদ। এবার তার শিকার কামিন্দু মেন্ডিস। তার শর্ট বলে আলগা শট খেলে শর্ট মিড উইকেটে ক্যাচ দেন ৫১ বলে ৩৩ রান করা কামিন্দু। মিরাজ সেখানে সহজ ক্যাচ নেন।
শ্রীলঙ্কা হারাল পঞ্চম উইকেট। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান দুনিথ ওয়েলালাগে।
৫১ বল পর প্রথম বাউন্ডারি
একটা সময়ে বাউন্ডারির ফোয়ারা ছুটিয়ে দিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যানরা। বাংলাদেশ দ্রুত ৩ উইকেট নিয়ে দারুণভাবে ম্যাচে ফিরেছে। তাতে কমে গেছে বাউন্ডারির সংখ্যা।
২২তম ওভারের চতুর্থ বলে কামিন্দু মেন্ডিস রিভার্স সুইপ করে চার মারেন। ৫১ বল পর প্রথম বাউন্ডারি পায় স্বাগতিকরা।
শ্রীলঙ্কার একশ
অষ্টম ওভারের তৃতীয় বলে দলীয় পঞ্চাশ রান পেয়েছিল লঙ্কানরা। শতরান ছুঁতে তাদের লেগেছে ১৮.৫ ওভার।
চাপে রেখে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ককে ফেরাল বাংলাদেশ
নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে কামিন্দু মেন্ডিস ও চারিথ আসালাঙ্কাকে চাপে রেখেছিল বাংলাদেশ।
কোনো আলগা বোলিং করেননি তানভীর, মিরাজ। পরবর্তীতে শামীম যোগ দিয়েও আক্রমণ অব্যাহত রেখেছেন। তার হাত ধরেই আসল সাফল্য।
শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক আসালাঙ্কা শামীমের শর্ট বল উড়াতে গিয়ে মিড অনে ক্যাচ দেন। ৯৯ রানে চতুর্থ উইকেট হারাল শ্রীলঙ্কা। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান তানভীরের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন ৬ রানে।
ক্রিজে কামিন্দুর নতুন সঙ্গী লিয়ানাগে।
বিপজ্জনক মেন্ডিসকে ফিরিয়ে স্বস্তি আনলেন তানভীর
২০ বলে ফিফটি তুলে বাংলাদেশের থেকে ম্যাচটা ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন কুশল মেন্ডিস। চার-ছক্কার ফোয়ারায় বাংলাদেশের বোলাররা ছিলেন দিশেহারা।
পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে তানভীর মাদুশঙ্কাকে ফিরিয়ে ভাঙেন জুটি। এরপর ১২তম ওভারে তার শিকার হলেন মেন্ডিস। বিপজ্জনক মেন্ডিস ৩১ বলে ৫৬ রান করে এলবিডব্লিউ হন।
তানভীরের বল এগিয়ে এসে উড়াতে চেয়েছিলেন মেন্ডিস। বলের নাগাল পাননি তিনি। বল তার প্যাডে আঘাত করে। আম্পায়ার বাংলাদেশের আবেদনে সাড়া না দিলে রিভিউ নেন মিরাজ। তাতেই কাজ হয়ে যায়। বাংলাদেশ পেয়ে যায় তৃতীয় সাফল্য।
মেন্ডিস ফিরলেন। উইকেটে এলেন প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি পাওয়া আসালাঙ্কা।
তানভীর জুটি ভাঙলেন, পাওয়ার প্লে’তে এগিয়ে শ্রীলঙ্কা
পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে তানভীর ইসলাম ভাঙলেন শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় উইকেট জুটি। যে জুটিতে মাদুশঙ্কা ও মেন্ডিস ৪৫ বলে ৬৯ রান করেছিলেন।
বাঁহাতি স্পিনারের বলে ইনসাইড আউট শট খেলতে গিয়ে পয়েন্টে ক্যাচ দেন ২৫ বলে ১৭ রান করা মাদুশঙ্কা।
বাংলাদেশ দ্বিতীয় উইকেট পেলেও পাওয়ার প্লে’তে শ্রীলঙ্কা এগিয়ে। অনায়েসে ১০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৭৫ রান তুলেছে লঙ্কানরা। বাংলাদেশ পাওয়ার প্লে’তে ১ উইকেটে তুলেছিল ৬৫ রান।
মেন্ডিসের ২০ বলে ফিফটি, উড়ছে শ্রীলঙ্কা
তিনে ব্যাটিংয়ে নেমে ম্যাচের চিত্রটাই পাল্টে দিলেন কুশল মেন্ডিস।
মাত্র ২০ বলে ফিফটি তুলে নিয়েছেন হার্ডহিটার ব্যাটসম্যান। বোলারদের কড়া শাসন করে ক্যারিয়ারের ৩৪তম ফিফটি পেতে কোনো সমস্যাই হয়নি তার।
নবম ওভারে টানা চার বলে চারটি চার হজম করেন মোস্তাফিজুর রহমান। প্রথম বল পুল করে চার মারেন কুশল। পরের তিনটি অফসাইডে দারুণ চারটি শটে। ফিফটিতে পৌঁছতে ৯ চার ও ১ ছক্কা হাঁকান কুশল।
মোস্তাফিজ নিজের প্রথম ওভারে দেন ১৭ রান।
অনায়েসে রান তুলে শ্রীলঙ্কার কড়া জবাব
৬ রানে উদ্বোধনী জুটি ভেঙেছিল বাংলাদেশ।
নিজেদের আটকে না রেখে প্রতি আক্রমণ চালায় লঙ্কানরা। তাতে কাজের কাজও হয়েছে। রান আসছে অনায়েসে। বাউন্ডারির ফোয়ারা ছুটছে মাদুশাঙ্কা ও মেন্ডিসের ব্যাটে।
বৃত্তের সুবিধা কাজে লাগিয়ে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে লক্ষ্যের পথে ছুটছেন তারা। বাংলাদেশের বোলিংয়ে তেমন ধার নেই। নির্বিষ বোলিংয়ের সুযোগ বেশ ভালোভাবেই নিচ্ছেন ব্যাটসম্যানরা।
এরই মধ্যে দলীয় পঞ্চাশ পেরিয়ে গেছে শ্রীলঙ্কা। ৭.৩ ওভারে তাদের রান পঞ্চাশ ছুঁয়ে ফেলে।
শুরুতে উইকেট পেল বাংলাদেশ
ছোট পুঁজি নিয়ে লড়াই করতে নেমে শুরুতে উইকেট পেল বাংলাদেশ।
পেসার তানজিম হাসান সাকিব নিজের প্রথম ওভারে সাজঘরে পাঠিয়েছেন পাথুম নিশাঙ্কাকে। ৮ বলে ৫ রান করে তানজিমের বলে এলবিডব্লিউ হন নিশাঙ্কা। পাঁচ ইনিংসে চতুর্থবার তানজিমের বলে আউট হলেন নিশাঙ্কা।
উইকেটে নতুন ব্যাটসম্যান কুশল মেন্ডিস।
তানজিমের শেষ ‘ঝড়ে’ বাংলাদেশের ২৪৮
তানজিম হাসান হাসারাঙ্গার বলে ১ রান নিতেই ধারাভষ্যে রাসেল আর্নল্ড বললেন, ‘‘মোস্তাফিজকে ২ বল সারভাইভ করতে হবে। পারবেন তো?’’
ওই ওভারে তানজিম ২ ছক্কা উড়ান লেগ স্পিনারকে। উইকেট নেওয়া জরুরী হয়ে পড়েছিল তার জন্য। পঞ্চম বলেই লেগ স্পিনার ফেরান মোস্তাফিজকে। এলডব্লিউ হয়ে মোস্তাফিজ সাজঘরে। বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয়ে যায় সেখানেই।
তানজিম সাকিবের শেষ ঝড়ে বাংলাদেশের পুঁজি ২৪৮ রান। তানজিম ২১ বলে ২টি করে চার ও ছক্কায় ৩৩ রান করেন। শেষ উইকেটে ২৪ বলে ৩০ রান পায় বাংলাদেশ। যেখানে মোস্তাফিজ কোনো রান যোগ করতে পারেননি।
শ্রীলঙ্কার সেরা বোলার আসিথা ফার্নান্দো। ৩৫ রানে ৪ উইকেট নেন। ৯.৫ ওভারে ৬০ রানে ৩ উইকেট পেয়েছেন হাসারাঙ্গা।
শ্রীলঙ্কা প্রথম ওয়ানডেতে ২৪৪ রান করে বাংলাদেশকে ৭৭ রানে হারিয়েছিল। বাংলাদেশও কাছাকাছি রানের পুঁজি পেল। আজ বাংলাদেশের ভাগ্য খুলবে?
টিকলেন না তানভীরও
আসা-যাওয়ার মিছিলে নতুন নাম তানভীর ইসলাম। তাকে এলডব্লিউ করেছেন হাসারাঙ্গা। ডিপ ক্রিজে গিয়ে বল খেলার চেষ্টায় ব্যর্থ হন তানভীর। ৫ বলে ৪ রান করে ফেরেন সাজঘরে।
বাংলাদেশ হারাল নবম উইকেট। উইকেটে নতুন ব্যাটসম্যান মোস্তাফিজুর রহমান।
রান আউট হয়ে মেজাজ হারালেন তাওহীদ
২ রান নেওয়ার চেষ্টায় ছিলেন তাওহীদ। কিন্তু সতীর্থ তানজিম সাকিবের কোনো ইচ্ছাই ছিল না। ডেঞ্জার এন্ডে ছিলেন তিনি।
তানজিম যখন তাওহীদকে ফিরিয়ে দেন তখন তিনি ক্রিজের মাঝে। পেসার আসিথা সহজেই বল ধরে ভাঙেন উইকেট। তাওহীদের ইনিংসটি কাটা পড়ে রান আউটে।
আউট হয়ে মেজাজ হারান তিনি। ব্যাট ছুঁড়ে মারেন। সতীর্থর উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ৬৯ বলে ২ চারে ৫১ রানে আউট হন তাওহীদ। বাংলাদেশের ইনিংস কতদূর যাবে তা বোঝা যেত তাওহীদের ইনিংসের ওপর। কিন্তু রান আউটে বাংলাদেশের বড় স্কোরের সম্ভাবনাও শেষ হয়ে গেল।
তার ফেরার পরপরই হাসান মাহমুদ আউট হন শূন্য রানে। আসিথার শর্ট বল পুল করতে গিয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ দেন।
বাংলাদেশ একই ওভারে সপ্তম ও অষ্টম ব্যাটসম্যানকে হারাল। উইকেটে নতুন ব্যাটসম্যান তানভীর ইসলাম।
ষষ্ঠ উইকেট হারাল বাংলাদেশ
খানিকটা প্রতিরোধ গড়ে জাকের আলী ফিরলেন সাজঘরে। রান করতে পারছিলেন না। উইকেটটা কেবল আগলে রেখেছিলেন। তাতে বাংলাদেশের উইকেটের মিছিল কিছুক্ষণের জন্য থামানো গিয়েছিল।
সুযোগ থাকলেও লম্বা ইনিংস খেলতে পারলেন না জাকের। তাকে সাজঘরে ফেরত পাঠিয়েছেন আসিথা ফার্নান্দো। ৪০ বলে ২ চারে ২৪ রান করে এলবিডব্লিউ হন জাকের। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি।
ষষ্ঠ উইকেটে তাওহীদের সঙ্গে তার জুটি ছিল ৬১ বলে ৪৫ রানের। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান তানজিম হাসান সাকিব।
দুইশ পেরিয়ে বাংলাদেশ
৩৮তম ওভারে দলীয় ২০০ রান পেয়েছে বাংলাদেশ। জাকের আলী অনিক ও তাওহীদ হৃদয় ইনিংস মেরামতের কাজ করছেন। তাদের হাত ধরে বাংলাদেশ কতদূর যায় সেটাই দেখার।
যেভাবে বাংলাদেশের ২০০
০-৫০ (৫৩ বল)
৫০-১০০ (৪৪ বল)
১০০-১৫০ (৬৯ বল)
১৫০-২০০ (৬৩ বল)
সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেন না শামীম
লিটন দাসের জায়গায় একাদশে সুযোগ পেয়েছেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী। লম্বা ইনিংস খেলার সূবর্ণ সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু ২৩ বলে ২২ রানে থেমে গেল তার ইনিংস।
পুল শট তার শক্তির জায়গা। সেই পুল শটেই উইকেট বিলিয়ে এলেন শামীম। পেসার আসিথার শর্ট বল পুল করে ফাইন লেগে ক্যাচ দেন শামীম। বাংলাদেশ হারাল পঞ্চম উইকেট।
ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান জাকের আলী।
বাংলাদেশের দেড়শ
কামিন্দু মেন্ডিসকে ছক্কা উড়িয়ে উইকেটে স্বাগত জানিয়েছিলেন শামীম। পরের ওভারে তাকে দুটি হাঁকান এই ব্যাটসম্যান। প্রথম চারে বাংলাদেশের দলীয় রান দেড়শ পেরিয়েছে।
২৮তম ওভারের তৃতীয় বলে বাংলাদেশের দলীয় রান দেড়শ ছুঁয়েছে। এর আগে ষোলোতম ওভারে একশ এবং নবম ওভারের চতুর্থ বলে দলের রান ফিফটি ছুঁয়েছিল।
মিরাজের উইকেট হারাল বাংলাদেশ
শান্ত ও পারভেজের জুটি ভাঙার পর দ্রুত উইকেট হারাচ্ছে বাংলাদেশ। ৭৩ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ১২৬ রানে যেতেই নেই ৪ উইকেট।
এবার অধিনায়ক মিরাজ ফিরলেন সাজঘরে। স্পিনার হাসারাঙ্গাকে সুইপে দারুণ একটি চার হাঁকিয়েছিলেন। পেসার চামিরাকেও মেরেছিলেন কাভার ড্রাইভ। মনে হচ্ছিল আত্মবিশ্বাসী মিরাজকেই দেখা যাবে গজে।
কিন্তু চামিরার শর্ট বলেই সব ওলটপালট। পুল করতে গিয়ে সীমানায় ক্যাচ দেন মিরাজ। ১০ বলে ৯ রান করে মিরাজ আউট হলেন। বাংলাদেশ হারাল চতুর্থ উইকেট।
উইকেটে নতুন ব্যাটসম্যান শামীম হোসেন পাটোয়ারী।
হাসারাঙ্গার বলে বোল্ড পারভেজ
পারভেজ হোসেনকে বারবার পরীক্ষায় ফেলছিলেন লেগ স্পিনার হাসারাঙ্গা। অভিজ্ঞ বোলার বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে কোনো সুযোগই দিচ্ছিলেন না রান নেওয়ার।
শেষ পর্যন্ত তার বলেই উইকেট হারালেন পারভেজ। বোল্ড হয়ে ফিরলেন সাজঘরে। ৬৯ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৭ রান করে পারভেজ আউট হয়েছেন। বাংলাদেশ হারাল তৃতীয় উইকেট।
ক্রিজে তাওহীদের সঙ্গে নতুন ব্যাটসম্যান অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ।
শতরান পেরিয়ে বাংলাদেশ
ষোলোতম ওভারে বাংলাদেশের দলীয় রান একশ ছুঁয়েছে। এর আগে নবম ওভারের চতুর্থ বলে দলের রান ফিফটি ছুঁয়েছিল।
ফিফটির খাতা খুললেন পারভেজ
প্রথম ওয়ানডেতে নিজের অভিষেক ঠিকমতো রাঙাতে পারেননি পারভেজ। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সামর্থ্যের প্রমাণ দিলেন ভালোভাবে। সহজাত ব্যাটিংয়ে মেলে ধরলেন নিজেকে।
সতীর্থ তানজিদকে হারানোর পর দলের হাল ধরে প্রতি আক্রমণে গিয়ে রান তুলেছেন। তাতে চোখের নিমিষেই তুলে নিয়েছেন ফিফটি। যা তার আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে প্রথম মাইলফলক।
স্পিনার আসালাঙ্কাকে ১৪তম ওভারে ছক্কা-চার উড়িয়ে ফিফটিতে পৌঁছান পারভেজ। ৪৬ বলে ফিফটিতে পৌঁছাতে ৫ চার ও ৩ ছক্কা মেরেছেন। ফিফটিকে সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে পারবেন পারভেজ?
বাজে শটে ফিরলেন শান্ত
শুরুর ধাক্কা সামলে শান্ত ও পারভেজ বেশ ভালোভাবে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন। ওভারপ্রতি ৬ করে রান তুলছিলেন। শ্রীলঙ্কার জন্য যা ছিল মাথা ব্যথার কারণ।
দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ব্যাটিংয়ে থাকায় শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক আসালাঙ্কা বোলিংয়ে আসেন। অফস্পিনারই দলকে পাইয়ে দিলেন কাঙ্খিত ব্রেক থ্রু। শান্ত তার শর্ট বল উড়াতে গিয়ে ওয়াইড লং অনে ক্যাচ দেন। সেখানে অনেকটা পথ দৌড়ে দারুণ ক্যাচ নেন থিকসেনা।
শান্তর আউটে ভাঙল ৫৫ বলে ৬৩ রানের জুটি। ১৯ বলে ১৪ রান করেছেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
উইকেটে নতুন ব্যাটসম্যান তাওহীদ হৃদয়।
জুটির পঞ্চাশে দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন পারভেজ-শান্ত
১০ রানে উদ্বোধনী জুটি ভেঙে যায় তানজিদের আউটে। দ্বিতীয় উইকেটে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে বাংলাদেশ।
হাল ধরেছেন পারভেজ হোসেন ইমন ও নাজমুল হোসেন শান্ত। নবম ওভারের চতুর্থ বলে ইনিংসের দ্বিতীয় ছক্কা হাঁকান পারভেজ। চামিরার শর্ট বল শর্ট মিড উইকেট দিয়ে বাউন্ডারিতে পাঠান। ওই ছক্কায় বাংলাদেশের দলীয় রান পঞ্চাশ পেরিয়ে যায়।
শুরুর ধাক্কা সামলে নিয়ে শান্ত ও পারভেজ দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন।তাদের জুটির রান এরই মধ্যে পঞ্চাশ পেরিয়েছে। পাওয়ার প্লে’ কাজে লাগিয়ে ৬৫ রান তুলেছে বাংলাদেশ। অষ্টম, নবম ও দশম ওভারে যথাক্রমে রান এসেছে, ৮, ১১ ও ১০।
শুরুতেই হাল ছেড়ে দিলেন তানজিদ
মাঠে নেমে শুরুতেই ধাক্কা হজম করতে হলো বাংলাদেশকে। ফর্মে থাকা ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম সাজঘরে ফিরলেন শুরুতে।
পেসার আসিথা ফার্নান্দোর বল জায়গায় দাঁড়িয়ে শট খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে মেন্ডিসের হাতে ক্যাচ দেন তানজিদ। ১১ বলে ৭ রানে থেমে যায় তার ইনিংস।
প্রথম ম্যাচে ৬২ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলে দলকে জয়ের লড়াইয়ে রেখেছিলেন তানজিদ। আউট হয়েছিলেন বাজে সময়ে। আজও ইনিংসের শুরুতেই তার মূল্যবান উইকেট হারাল বাংলাদেশ।
উইকেটে নতুন ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত।
ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, লিটন-তাসকিন নেই
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আগে ব্যাটিং করছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায় কলম্বোতে ম্যাচটি শুরু হয়েছে।
টস
টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। বাংলাদেশের একাদশে দুটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। তাসকিন আহমেদ ও লিটন দাস নেই। দলে ফিরেছেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী এবং হাসান মাহমুদ।
বাংলাদেশ একাদশ
তানজিদ হাসান, পারভেজ হোসেন, নাজমুল হোসেন শান্ত, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, তাওহিদ হৃদয়, মেহেদী হাসান মিরাজ, জাকের আলী, তানজিম হাসান সাকিব, তানভীর ইসলাম, হাসান মাহমুদ ও মোস্তাফিজুর রহমান।
দুটি পরিবর্তনও হয়েছে শ্রীলঙ্কা একাদশে। দুনিথ ওয়েলাগে ও দুশমন্ত চামিরা ফিরেছেন।
শ্রীলঙ্কা একাদশ
নিশান মাদুস্কা, পাথুম নিশাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস, কামিন্দু মেন্ডিস, চারিথ আসালঙ্কা (অধিনায়ক), জানিথ লিয়ানাগে, দুনিথ ওয়েলাগে, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, মহীশ তিকশানা, দুশমন্ত চামিরা ও আসিথা ফার্নান্ডো।
সিরিজ বাঁচাতে পারবে বাংলাদেশ?
নাটকীয় ব্যাটিং ধসে প্রথম ওয়ানডেতে বিব্রতকর পরাজয় মেনে নিয়েছে বাংলাদেশ। বোলারদের নৈপূণ্যে বাংলাদেশ লক্ষ্য নাগালে রেখেছিল। এরপর লক্ষ্য তাড়ায় ভালো জবাবও দিয়েছিল। কিন্তু, মাত্র ৫ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে তালগোল পাকানো পারফরম্যান্সে ম্যাচটি স্রেফ শ্রীলঙ্কাকে উপহার দিয়ে আসে বাংলাদেশ। আজ সিরিজ বাঁচানোর লড়াই। হারলেই সিরিজ খোয়া যাবে। জিতলে টিকে থাকবে। মিরাজ অ্যান্ড কোং ঘুরে দাঁড়াতে পারে কিনা সেটাই দেখার বিষয়।
দশ বছরে সবচেয়ে বাজে অবস্থা বাংলাদেশের
ফল হওয়া শেষ সাত ওয়ানডেতে কোনো জয় নেই বাংলাদেশের। শেষ দশ বছরেও ওয়ানডেতে এমন অবস্থা কাটেনি বাংলাদেশের। ফল হওয়া ম্যাচগুলো পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০১৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে একই বছরের ২৫ আগস্ট পর্যন্ত মোট ১২ ম্যাচ হেরেছিল বাংলাদেশ। যার নয়টিই ঘরের মাঠে। তিনটি দেশের বাইরে। এরপর ওয়ানডে ক্রিকেটে এমন পরাজয়ের মিছিল আর ছিল না বাংলাদেশের। এতটা খারাপ অবস্থাও কখনো আসেনি।
গত বছর আফগানিস্তানের বিপক্ষে শারজাহতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ। প্রথম ওয়ানডেতে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে জয় পায়। তৃতীয় ওয়ানডেতে আবার হার। এরপর পরাজয়ের বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে বাংলাদেশ। ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়ে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হয়। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারত ও নিউ জিল্যান্ডের কাছে হার। শেষ ম্যাচ ছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে। দলের যেই পারফরম্যান্স ছিল তাতে বাজি ধরার লোক থাকার কথা না। বৃষ্টি ‘বাঁচিয়ে’ দেয় বাংলাদেশকে। এরপর গতকাল কলম্বোতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চরম নাটকীয় পরাজয়। ৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিব্রতকর হারকে সঙ্গী করে বাংলাদেশ।
ঢাকা/ইয়াসিন/রফিক