ঢাকা     মঙ্গলবার   ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২৫ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

টি-টোয়েন্টির পর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও চ‌্যাম্পিয়ন রংপুর

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:১৪, ৯ ডিসেম্বর ২০২৫   আপডেট: ১৮:২৬, ৯ ডিসেম্বর ২০২৫
টি-টোয়েন্টির পর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও চ‌্যাম্পিয়ন রংপুর

নিজেরদের কাজটা রংপুর বিভাগ আগের দিনই করে রেখেছিল। ইকবাল হোসেনের সেঞ্চুরিতে বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে খুলনা বিভাগকে তিন দিনেই তারা হারিয়ে দেয় ৭ উইকেটে।

লিগের শেষ রাউন্ডের জয় পাওয়ায় জাতীয় ক্রিকেট লিগে চ‌্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াইয়ে তারাই এগিয়ে ছিল। অপেক্ষা ছিল কেবল সিলেট বিভাগ ও বরিশাল বিভাগের ম‌্যাচের ফলাফলের। সিলেট ম‌্যাচ জিতে গেলে রংপুর ৩১ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় হবে। আর সিলেট যদি ম‌্যাচ ড্র করে তাহলে রংপুর ৩১ পয়েন্ট নিয়ে চ‌্যাম্পিয়ন। ২৮ পয়েন্ট নিয়ে সিলেট দ্বিতীয়।

আরো পড়ুন:

রংপুরের চোখ ছিল রাজশাহী স্টেডিয়ামে। তীব্র লড়াইয়ের পর সিলেট ও বরিশালের ম‌্যাচ শেষ পর্যন্ত ড্র হয়েছে। সিলেটের ড্রয়ে নিশ্চিত হয়ে যায় রংপুরের শিরোপা। জাতীয় ক্রিকেট লিগ টি-টোয়েন্টির পর বড় দৈর্ঘর প্রতিযোগিতার শিরোপাও রংপুর ঘরে তুলল।

দুই প্রতিযোগিতাতেই আকবর আলী দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার হাতেই উঠল জোড়া শিরোপা।

লিগে ৭ ম‌্যাচে ৩১ পয়েন্ট রংপুরের। ৩টিতে তারা জিতেছে। ড্র করেছে ৩টি। হেরেছে ১ ম‌্যাচ। ৭ ম‌্যাচে কোনোটিতে হারেনি সিলেট। জিতেছে ২টি। ড্র করেছে ৫টি। তাদের পয়েন্ট ২৮। প্রথমবারের মতো খেলতে নামা ময়মনসিংহ বিভাগ ২৪ পয়েন্ট নিয়ে হয়েছে তৃতীয়।

সোমবার রাজশাহীতে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন ইফতেখার হোসেন ইফতি। তার ব‌্যাটেই বরিশাল বড় সংগ্রহ পায় দ্বিতীয় ইনিংসে। ৮ উইকেটে ২৯৪ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে তারা। ইফতি ১৯৭ বলে ১১ চার ও ৪ ছক্কায় ১২৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। এছাড়া শেষ দিকে তেমন কেউ রান পাননি। সিলেটের হয়ে বল হাতে তোফায়েল ৩টি ও রাহী ২ উইকেট নেন।

হাতে দুই সেশন রেখে সিলেটকে ৩২০ রানের চ‌্যালেঞ্জিং টার্গেট দেয় বরিশাল। শেষ সেশনে এক ঘণ্টা আগে দুই দল ড্রতে সম্মতি দেয়। এর আগে সিলেট ৫ উইকেটে ১৮৭ রান তোলে। মুশফিকুর রহিম পেয়েছেন ফিফটির দেখা। ১০৩ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ৫৩ রান করেন তিনি। ডানহাতি স্পিনার মঈন খানের একটু নিচু হওয়া বলে বোল্ড হন এই ব‌্যাটসম‌্যান। এছাড়া আসাদুল্লাহ গালিব ৬১ রানে অপরাজিত থাকেন।

বোলিংয়ে বরিশালের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন তানভীর ইসলাম ও মঈন খান।

এদিকে সিলেটে ঝড়ো সেঞ্চুরি করেও দলের পরাজয় এড়াতে পারেননি আবু হায়দার রনি। ১২৭ বলে ১০ চার ও ১৩ ছক্কায় ১৪১ রান করেন তিনি। ৪২৮ রানের লক্ষ‌্য তাড়ায় ময়মনসিংহ বিভাগ ২৮১ রানে গুটিয়ে যায়। ১৪৬ রানের বিশাল জয়ের পরও পয়েন্ট টেবিলের আটে অবস্থান রাজশাহীর।

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়