ঢাকা     রোববার   ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২৯ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

ঘূর্ণিঝড় মোখা: কক্সবাজারে আশ্রয়কেন্দ্রে ৩২ হাজার মানুষ

কক্সবাজার প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৪৭, ১৩ মে ২০২৩   আপডেট: ১২:৫০, ১৩ মে ২০২৩
ঘূর্ণিঝড় মোখা: কক্সবাজারে আশ্রয়কেন্দ্রে ৩২ হাজার মানুষ

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা থেকে রক্ষায় কক্সবাজারে ৫৭৬ আশ্রয়কেন্দ্রে ৩২ হাজার ২৭৬ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।

শনিবার (১৩ মে) সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তারা আশ্রয়ণকেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন।

আরো পড়ুন:

জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোলরুম থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, জেলায় ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) ৮ হাজার ৬০০ জন এবং রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির ২ হাজার ২০০ জন স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে। সেন্টমার্টিনে নেভি, কোস্ট গার্ড, পুলিশসহ অন্যদের মিলিয়ে ৩৭টি সরকারি স্থাপনা রয়েছে। তাই সরকারি স্থাপনাগুলো সাইক্লোন শেল্টার হিসেবে ব্যবহারের জন্য বলা হয়েছে। দুর্যোগকালীন সময়ের জন্য ২০ লাখ নগদ টাকা রাখা হয়েছে; যার মধ্যে ১০ লাখ টাকা উপজেলা পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে ৫.৯০ মেট্রিক টন চাল, ৩.৫ মেট্রিক টন টোস্ট বিস্কুট, ৩.৪ মেট্রিক টন শুকনা কেক, ১৯৪ বান্ডিল ঢেউটিন, ২০ হাজার প্যাকেট ওরস্যালাইন ও ৪০ হাজার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট মজুত রাখা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র। জেলায় যে ৫৭৬টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে সেগুলোতে ৫ লাখ ৫৯৯০ জন লোক রাখা যাবে। 

শনিবার (১৩ মে) সকাল থেকে মেডিক‌্যাল দল, কোস্ট গার্ড, নৌ-বাহিনী, পুলিশ, নৌ-পুলিশ, জেলা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবক দল, স্কাউট দল, আনসার বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থাগুলোকে সর্বোচ্চ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, শনিবার সকাল থেকে আমরা আশ্রায়কেন্দ্রগুলো খুলে দিয়েছি। উপকূলের মানুষ আসতে শুরু করেছেন। পুরো জেলার মধ্যে যেসব আশ্রায়কেন্দ্র ছিল সেখানে ৩২ হাজারের অধিক লোক এসেছেন। আশা করি, নিরাপত্তার জন্য আরও অনেকেই আসবেন। 

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত প্রধান আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮ থেকে ১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছাসে প্লাবিত হতে পারে। বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

তারেকুর রহমান/ইভা 

সম্পর্কিত বিষয়:

ঘটনাপ্রবাহ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়