ঢাকা     সোমবার   ০৭ অক্টোবর ২০২৪ ||  আশ্বিন ২২ ১৪৩১

এমপি আনার হত্যা

গ্যাস বাবুর মোবাইল উদ্ধারে ঝিনাইদহে ডিবির অভিযান

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:২০, ২৬ জুন ২০২৪   আপডেট: ১২:৩৩, ২৬ জুন ২০২৪
গ্যাস বাবুর মোবাইল উদ্ধারে ঝিনাইদহে ডিবির অভিযান

ছবি: রাইজিংবিডি

সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার আসামি শিমুল ভূঁইয়ার সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করা তিনটি মোবাইল ফোন উদ্ধারে ঝিনাইদহে অভিযান চালাচ্ছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি টিম।

বুধবার (২৬ জুন) সকাল থেকে শহরের পায়রা চত্ত্বর এলাকার একটি পুকুর ঘিরে রাখে পুলিশ। সেখানে ক্রাইম সিন এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করে রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে একজন ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন। ঢাকা থেকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমানসহ ১০ ডিবি সদস্য এসেছেন। এছাড়া ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা প্রধান হারুন অর রশিদ হেলিকপ্টার যোগে ঝিনাইদহে আসার কথা রয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঝিনাইদহ গোয়েন্দা পুলিশের ওসি জুয়েল ইসলাম।

ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন উদ্দিন জানান, সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে পুকুরে মোবাইল উদ্ধারের জন্য ঝিনাইদহ কারাগার থেকে ঘটনাস্থলে আনা হয় আওয়ামী লীগ নেতা কাজী কামাল আহমেদ বাবুকে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটের দিকে কাশিমপুর কারাগার থেকে ঝিনাইদহ কারাগারে স্থানান্তর করা হয় তাকে।

আরো পড়ুন:

এদিকে সকাল থেকে ঝিনাইদহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া মোবাইল উদ্ধারে জেলে ও ডুবুরি দলও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) হারুন অর রশিদ বলেছিলেন, এই মোবাইলগুলো দিয়েই আনার হত্যার মূল ঘাতক আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়া গ্যাস বাবুর সঙ্গে অসংখ্যবার কথা বলেছেন। এছাড়া, অসংখ্য মেসেজ তারা আদান-প্রদান করেছেন। মোবাইলগুলোতে ডিজিটাল তথ্য-উপাত্ত আছে বলে মনে করছি। না হলে গ্যাস বাবু মোবাইলগুলো পানিতে ফেলে দেবেন কেন? মোবাইলগুলো পেলে মামলার তদন্তে অনেক সহায়তা হবে। সেজন্য মোবাইল উদ্ধার করা অনেক জরুরি।

গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে ভারতে যান এমপি আনার। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। পরের দিন চিকিৎসক দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকে নিখোঁজ হন আনোয়ারুল আজীম। তারপর বাড়ি থেকে বেরোনোর পাঁচ দিন পর গত ১৮ মে বরাহনগর থানায় আনোয়ারুল আজীম নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করেন বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। এরপরও খোঁজ মেলেনি তার। গত ২২ মে হঠাৎ খবর ছড়ায়, কলকাতার পার্শ্ববর্তী নিউটাউন এলাকায় সঞ্জীবা গার্ডেনস নামে একটি আবাসিক ভবনের বিইউ ৫৬ নম্বর রুমে আনোয়ারুল আজীম খুন হয়েছেন। তবে মরদেহ পাওয়া যায়নি।

শাহরিয়ার/ইমন


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়