ঢাকা     রোববার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৬ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

মেয়র আসেন-যান, উন্নতি হয় না সড়কের

নড়াইল প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৪৮, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫   আপডেট: ১৬:৫৮, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
মেয়র আসেন-যান, উন্নতি হয় না সড়কের

সংস্কার না হওয়ায় সড়কজুড়ে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে।

মেয়র আসেন, মেয়র যান তবে উন্নয়ন হয় না নড়াইল পৌরসভার সড়কগুলোর। বেহাল অবস্থায় পড়ে থাকা সড়কগুলো দিন দিন আরো খারাপ হচ্ছে। সড়কের পিচের সঙ্গে উঠে গেছে খোয়াও। কোথাও কোথাও ইট-সুরকির জোড়াতালিতে ঢাকা হচ্ছে সড়কের ক্ষত। কিন্তু সে তো স্থায়ী কোনো সমাধান নয়। স্থানীয়রা সড়কের উন্নয়নে স্থায়ী সমাধান চান।

নড়াইল পৌরসভা থেকে জানানো হয়েছে, ১৯৭২ সালে ২৮.৫০ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে গঠিত হয় নড়াইল পৌরসভা। ১৯৯৯ সালে এটি প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় উন্নীত হয়। পৌরসভায় মোট ৩৭১ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। এর মধ্যে পাকা সড়ক রয়েছে মাত্র ৫২ দশমিক ২৫ কিলোমিটার। ঢালাই সড়ক রয়েছে ১২ দশমিক ৫ কিলোমিটার। ইটের সড়ক ৬ দশমিক ৭৫ কিলোমিটার। কাঁচা সড়ক ১৭৭ দশমিক ২৫ কিলোমিটার এবং অন্যান্য সড়ক রয়েছে ১২২ কিলোমিটার।

পৌরসভার অধিকাংশ সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সংস্কার না হওয়ায় সড়কজুড়ে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এতে যানবাহন চলাচলে ব্যাপক সমস্যা তৈরি হয়েছে। প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হলেও এখানে উন্নয়নের ছোঁয়া তেমন একটা পড়েনি।

পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের বাসীন্দা আলমগীর বলেন, “আমাদের এলাকায় যাতায়াতের সড়কটি দীর্ঘ ৮ থেকে ১০ বছর ধরে চলাচলের অনুপযোগী। বিগত মেয়রসহ বিভিন্ন কমিশনারের কাছে আমরা একাধিকবার বিষটি জানিয়েছি। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তারা শুধুই আশ্বাস দিয়েছেন। বর্তমান প্রশাসকের কাছে সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানাই।”

ভাদুলিডাঙ্গা এলাকার সাথী বিশ্বাস বলেন, “বিভিন্ন সময়ে কমিশনরা এসেছেন। আশ্বাস দিয়ে গেছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। আগে তো তাও শোনার রোক ছিল। এখন কমিশনরা নেই, আমাদের সমস্যার কথা শোনারও কেউ নেই।”

নড়াইল পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আলী হায়দার পৌরসভার সড়কের বেহাল অবস্থার কথা স্বীকার করে বলেন, “সড়ক সংস্কারের জন্য যে বরাদ্দ প্রয়োজন তা না থাকায় সংস্কার সম্ভব হচ্ছে না। অর্থ বরাদ্দ পেলে সড়ক উন্নয়ন ও সংস্কারের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

নড়াইল পৌরসভার প্রশাসক জুলিয়া সুকায়না জানান, নড়াইল ‘ক’ শ্রেণির পৌরসভা হলেও এখানে নাগরিকদের জন্য তেমন কোনো সুযোগ-সুবিধা নেই। বরাদ্দ পেলে পর্যায়ক্রমে পৌরসভার বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা হবে।

ঢাকা/শরিফুল/এস

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়