ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

পূর্ণ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হবে যবিপ্রবি

সজিবুর রহমান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:২১, ১৪ নভেম্বর ২০২০   আপডেট: ১১:২৫, ১৪ নভেম্বর ২০২০
পূর্ণ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হবে যবিপ্রবি

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) হতে যাচ্ছে দেশের অন্যতম একটি পূর্ণাঙ্গ আবাসিক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন দুটি হলের কাজ শেষ হলে শিক্ষার্থীদের আর ক্যাম্পাসের বাইরে নিরাপত্তাহীন অবস্থায় থাকতে হবে না। ক্লাস ও পরীক্ষায় যথাসময়ে অংশগ্রহণ করতে পারবেন তারা।  

যশোরের অদূরে আমবটতলা এলাকায় প্রায় ৩৫ একরজুড়ে প্রতিষ্ঠানটি অবস্থিত। ২০০৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হলেও সম্পূর্ণরূপে এর কার্যক্রম শুরু হয় ২০০৮ সালে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ৭টি অনুষদের ২৬টি বিভাগে অধ্যয়নরত রয়েছে প্রায় চার হাজার শিক্ষার্থী। আগামী বছরের মার্চ মাসের মধ্যে পূর্ণ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হবে যবিপ্রবি। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট হল সংখ্যা ২টি, ছাত্রছাত্রী উভয়ের জন্য ১টি করে হল রয়েছে। এছাড়াও নির্মাণাধীন আছে আরও দুটি আবাসিক হল। নতুন হল দুটিতে থাকছে পিএইচডিসহ বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সুযোগ-সুবিধা। 

বর্তমানে যবিপ্রবিতে ছাত্রদের একমাত্র হল ‘শহীদ মসিয়ূর রহমান’ হল ২০১০ সালে স্থাপিত হয় । ২১১ কক্ষ বিশিষ্ট পাঁচ তলার এই ছাত্রাবাসটির আসন সংখ্যা ৭৫৬টি৷ মুক্তিযুদ্ধে একমাত্র শহীদ সংসদ সদস্যবিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট মসিয়ূর রহমানের নামানুসারে এই হলের নামকরণ করা হয়৷ হলটিতে ছাত্রদের জন্য রয়েছে টিভি রুম, রিডিং রুম, ক্যান্টিনসহ একটি ব্যায়ামাগার। অন্যদিকে ছাত্রীদের একমাত্র হল ‘শেখ হাসিনা হল’ নির্মিত হয় ২০১০ সালে। পাঁচতলা এই হলটির আসন সংখ্যা প্রায় পাঁচ শতাধিক। রিডিং রুম, সাইবার ক্যাফে, টিভি রুম, ক্যান্টিনসহ ব্যায়ামাগার রয়েছে হলটিতে। এ ছাড়াও যবিপ্রবিকে পূর্ণ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় করতে নির্মাণ করা হচ্ছে আরও দুটি আবাসিক হল-মুনশি মোহাম্মদ মেহেরুল্লাহ হল ও বীরপ্রতীক তারামন বিবি হল। 

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, যবিপ্রবির ছাত্রদের জন্য ২০১৮ সালে মুনশি মেহেরুল্লাহ হলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন যবিপ্রবির উপাচার্য। ১০ তলা এই ভবনে আসন সংখ্যা হবে প্রায় ১২ শতাধিক। হলটিতে শিক্ষার্থীদের জন্য থাকবে রিডিং রুম, টিভি রুম, ক্যান্টিন, ব্যায়ামাগারসহ সব সুযোগ-সুবিধা। অন্যদিকে ছাত্রীদের জন্য নির্মিত বীরপ্রতীক তারামন বিবি হলের আসন সংখ্যা প্রায় ১ হাজার। ১০ তলাবিশিষ্ট এই ভবনে থাকবে চারটি লিফট, রিডিং রুম, ব্যায়ামাগার, টিভি রুমসহ প্রতি ফ্লোরে রান্না করার জায়গা। যুগের চাহিদা অনুযায়ী ছাত্রী হলে থাকবে একটি আধুনিক ‘প্রসাধন ও রূপসজ্জার’ কক্ষ। এ ছাড়াও উভয় হলে মাস্টার্স, পিএইচডি ও বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ কক্ষ বরাদ্দ থাকবে। 

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আগামী বছরের মার্চ মাসের মধ্যে আমরা নতুন দুইটি হল, স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের নির্মাণকাজ শেষ করতে পারব বলে আশাবাদী। বর্তমান করোনা পরিস্থিতি ও বৃষ্টির জন্য নির্মাণ কাজে অনেক বিঘ্ন ঘটেছে। সেটা না হলে আমরা ডিসেম্বরের মধ্যেই কাজ শেষ করতে সক্ষম হতাম। এই নির্মাণকাজ শেষ হলে আমরা জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু করব। আমরা আরও ৬৫ একর জমি অধিগ্রহণের চিন্তা করছি। জমি অধিগ্রহণের কাজ ইতোমধ্যে অনেক দূর এগিয়ে গেছে।’ 

‘আইনত হল এবং একাডেমিক ভবনের নির্মাণকাজের ৯০ শতাংশ অর্থ বায়না হওয়া পর্যন্ত আমরা নতুন করে জমি বর্ধনের কাজ শুরু করতে পারি না। তাই আমরা চেষ্টা করব, আগামী বছরের মার্চ মাসের আগেই কাজ শেষ করে জমি বর্ধনের কাজ শুরু করার। আমাদের নির্মিত নতুন দুইটি হলে শিক্ষার্থীদের জন্য থাকবে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা। এছাড়াও পিএইচডি ও বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা কক্ষ বরাদ্দ থাকবে। হল দুটির কাজ শেষ হলে আমরা পূর্ণ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হব’, বলেন তিনি।

যবিপ্রবি/মাহি

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ