যবিপ্রবিতে জলবায়ুবিষয়ক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
যবিপ্রবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
যবিপ্রবিতে জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক জাতীয় সম্মেলনে অতিথিরা
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা এবং টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ার লক্ষ্যে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে জাতীয় সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টায় ‘ক্লাইমেট অ্যাকশন অ্যান্ড সাসটেইনেবল পাথওয়েজ-রিশেপ ২০৫০’ শীর্ষক সম্মেলনের আয়োজন করে যবিপ্রবির ক্লাইমেট অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট (সিডিএম) বিভাগ।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে উপস্থিত ছিলেন যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন যবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হোসেন আল মামুন এবং প্রধান বক্তা ছিলেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. হামিদুল হক।
সম্মেলনের আহ্বায়ক ও সিডিএম বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মাঝে বক্তব্য দেন, অ্যাম্বাসি অব দ্যা নেদারল্যান্ডস ইন বাংলাদেশের সিনিয়র ওয়াটার রিসোর্সেস পলিসি অ্যাডভাইজার ড. মো. শিবলী সাদিক, ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ওয়াটার গভার্নেন্স (উত্তরন) এর হেড অব প্রোগ্রামার জাহিদ আমিন শ্বাশত প্রমুখ।
বক্তারা প্রকৃতি-ভিত্তিক সমাধান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য, জলবায়ু পরিবর্তন, নগর স্থিতিস্থাপকতা, জলবায়ু শাসন, পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা, জলবায়ু কর্মকাণ্ড ও টেকসই পথ বলতে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করার জন্য গৃহীত পদক্ষেপ এবং দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নের পথ সম্পর্কে গবেষণালদ্ধ তথ্য, উপাত্ত ও পরিসীমা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে যবিপ্রবি উপাচার্য বলেন, “বিশ্বের আবহাওয়া ও জলবায়ু ক্রমান্বয়ে পরিবর্তন হচ্ছে। এই সম্মেলনের মাধ্যমে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানিয়ে নেওয়ার জন্য এবং সেটির প্রভাবগুলোর সঙ্গে পরিবেশ, সমাজ ও অর্থনীতির টেকসই উন্নয়নে স্বার্থে কাজ করার জন্য কৌশলগত আধুনিক মানানসই ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত আলোচনার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নতুন নতুন জ্ঞান আহরন করবে। একইসঙ্গে নিজেদের দক্ষ জনবল হিসেব গড়ে তুলবে।”
তিনি বলেন, “এ সম্মেলনে একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের অর্জিত জ্ঞান ও চিন্তা-চেতনা পরষ্পরের সঙ্গে আদান প্রদানের মাধ্যমে একজন দক্ষ ও সচেতন নাগরিক হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে পারবে। শিক্ষার্থীরা বক্তাদের কাছ থেকে আবহাওয়া ও জলবায়ু সংক্রান্ত আরো নতুন নতুন জ্ঞান অর্জন করতে পারবে।”
ঢাকা/ইমদাদুল/মেহেদী