ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

নতুন বাজেট ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার

কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:১২, ৩১ মে ২০২৩   আপডেট: ১১:৩৩, ১ জুন ২০২৩
নতুন বাজেট ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার

আগামীকাল ১ জুন বৃহস্পতিবার ৩টা ১৫ মিনিটে জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বাজেট পেশ করবেন। অর্থমন্ত্রী হিসেবে তার ৫ম বাজেট এটি। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হবে মন্ত্রিপরিষদের সভা। সভায় মন্ত্রিপরিষদ বাজেটে অনুমোদন দেবে।

রেওয়াজ অনুযায়ী এ সময় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দীন জাতীয় সংসদে তার অফিস কক্ষে অবস্থান করার করার কথা। মন্ত্রী পরিষদ সভায় নতুন বাজেট অনুমোদন নেওয়া হবে। এরপর রাষ্ট্রপতি কর্তৃক সংসদে উপস্থাপনের অনুমতি পাওয়ার পর অর্থমন্ত্রী তা জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করবেন।

প্রস্তাবিত বাজেটের শিরোনাম, ‘উন্নয়নের দেড় দশক: স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে’। বাজেটের শিরোনামটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া। এবারের বাজেট বক্তৃতার বইটিতে ১১টি অধ্যায় থাকবে। অর্থমন্ত্রী পবিত্র কোরআন শরীফের আয়াত পাঠের মাধ্যমে তার বাজেট বক্তৃতা শুরু এবং শেষ করবেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। বরাবরের মতো পাঞ্জাবি-পায়জামা ও মুজিব কোট পরিধান করে অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতা উপস্থাপন করবেন।

বাজেটের আকার হতে পারে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। আগামী ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটের ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। জিডিপির অংশ হিসেবে ঘাটতির পরিমাণ পাঁচ দশমিক ২ শতাংশ। বিশাল পরিমাণ বাজেট ঘাটতি মেটানোর জন্য ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণ (নীট) নেওয়ার লক্ষ্য ধরা হয়েছে ১ লাখ ৩২ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা। চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেটে যার পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৬ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা। ফলে এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণ নেওয়ার পরিমাণ বাড়বে ২৬ হাজার ৬১ কোটি টাকা। শতকরা হিসেবে যা ২৪ শতাংশ।

সাধারণত ১ জুলাই থেকে পরবর্তী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত একটি অর্থবছর ধরা হয়। সরকারের আর্থিক আয়-ব্যয়ের হিসাব সংবলিত এই বাজেটে থাকে অনেক হিসাব নিকাশ। সে হিসেবে আগামী ১ জুন ২০২২-২০২৩ অর্থবছর শেষ হবে। বাজেট এলেই মানুষের মনে ধারণা জন্মে, এবার নতুন করে কোন জিনিসের দাম বাড়বে? আর কোনটারই বা কমবে? বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কা বিশ্বের অন্যান্য দেশের বাংলাদেশকেও মাশুল দিতে হচ্ছে। বাজেটের আগে একশ্রেণির ব্যবসায়ী নানা অজুহাতে পণ্যমূল্য বাড়িয়ে দেয়। এবারও তার ব্যত্যয় হয়নি। মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরাই হবে নতুন বাজেটের মূল চ্যালেঞ্জ। তার ওপর এবারের বাজেট আওয়ামী লীগ সরকারের চলমান শাসনামলের শেষ বাজেট। বলা যেতে পারে ‘নির্বাচনী বাজেট।’ নির্বাচন নিয়ে দেশি-বিদেশি নানা ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে। এর মাঝেও একটি গণমূখী বাজেট প্রণয়ন খুবই কঠিন কাজ।

একাদশ সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা পাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে যা অনন্য রেকর্ড। গত ২০১৯ সালের ১৩ জুন বৃহস্পতিবার ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের জন্য প্রথম বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। আগামী ১ জুন তিনি যে বাজেট উপস্থাপন করবেন সেটি হবে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের টানা ১৫ তম বাজেট। আর দেশের ইতিহাসে ৫২তম বাজেট।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রথম বাজেটের আকার ছিল মাত্র ৭৮৬ কোটি টাকা। ১৯৭২-১৯৭৩ অর্থবছরের প্রথম বাজেট পেশ করেন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ। আর প্রথম বাজেট পেশ করা হয় ১৯৭২ সালের ৩০ জুন। ১৯৭১ সালের নয় মাসের রক্তাক্ষয়ী যুদ্ধে পাকহানাদার বাহিনীকে পরাস্ত করে ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হয়। স্বাধীনতার পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশে প্রত্যাবর্তন করেন এবং তার নেতৃত্বে সরকার গঠিত হয়। এরপর দেশে ১০ জন অর্থমন্ত্রী ৫১টি বাজেট দিয়েছেন, এবার নিয়ে জাতি ৫২টি বাজেট পেতে যাচ্ছে।

১৯৭২ সালে জাতীয় সংসদে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ জাতীয় সংসদে প্রথমটিসহ মোট ৩টি বাজেট ঘোষণা করেন। এর মধ্যে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর সামরিক সরকার এবং তাদের ছত্রছায়ায় বেশ কয়েকটি সরকার দেশ শাসন করেছে। এ সময় দেশে জাতীয় সংসদ সচল ছিল না। সামরিক সরকারগুলো অধ্যাদেশ আকারে বাজেট পেশ করে। সরকারি তথ্য থেকে দেখা যায়, ১৯৭৫ সালে নির্বাচিত সরকারকে অবৈধভাবে উৎখাতের পর ১৯৭৫-১৯৭৬ অর্থবছর ড. আজিজুর রহমান অর্থমন্ত্রী হিসেবে বাজেট ঘোষণা করেন। এরপর সামরিক শাসক মেজর জেনারেল পরবর্তীতে লেফটেন্যান্ট জেনারেল জিয়াউর রহমান নিজে নিজে দেশের সর্বস্ব সেজে ২টি এবং তিনি প্রহসনের হ্যাঁ-না ভোটের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পর আরও একবারসহ মোট ৩টি বাজেট ঘোষণা  করেন।  ড.এমএন হুদা একবার, এরপর ১৯৮০-১৯৮১ ও ১৯৮১-১৯৮২ অর্থবছর পরপর দু’বার সাইফুর রহমান বাজেট ঘোষণা করেন।

জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর এরশাদ ক্ষমতা গ্রহণ করেন। তার শাসনামলে ১৯৮২ সালে আবুল মাল আবদুল মুহিত ১৯৮২-১৯৮৩ ও ১৯৮৩-১৯৮৪ দুই অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেন। ১৯৮৪-১৯৮৫ অর্থবছর থেকে ১৯৮৭-১৯৮৮ অর্থবছর পর্যন্ত পরপর ৪ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেন এম.সায়েদুজ্জামান। ১৯৮৮-১৯৮৯ এবং ১৯৯০-১৯৯১ মেজর জেনারেল (অব.) মুনিম দু’বার। এর মাঝে ১৯৮৯-১৯৯০ ড. ওয়াহিদুল হক বাজেট পেশ করেন।

১৯৯১ সালে সামরিক শাসক এইচএম এরশাদকে স্বৈরাচার সরকার আখ্যায়িত করে পতন ঘটানোর পর তত্বাবধায়ক সরকারের প্রবর্তন হয়। ওই সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে বিএনপি সরকার গঠন করলে এম. সাইফুর রহমান আবার অর্থমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি ১৯৯১-১৯৯২ অর্থবছর থেকে ১৯৯৫-১৯৯৬ অর্থবছর পর্যন্ত মোট ৫টি বাজেট পেশ করেন।

মাগুরা নির্বাচন কেলেঙ্কারি বিরুদ্ধে গড়ে উঠা আন্দোলনের মুখে বিএনপি সরকারের পতনের পর তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে শেখ হাসিনার নের্তৃত্বে সরকার গঠিত হয় এবং এসএএমএস কিবরিয়া অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। তিনি ১৯৯৬-১৯৯৭ অর্থবছর থেকে ২০০১-২০০২ অর্থবছর পর্যন্ত টানা ৬টি বাজেট পেশ করেন।

২০০১ এর নির্বাচনের পর বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার গঠন করে। এম সাইফুর রহমান অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়ে ২০০০-২০০১ অর্থবছর থেকে ২০০৬-২০০৭ অর্থবছর পর্যন্ত ৫টি বাজেট পেশ করেন। বিরোধীদলের আন্দোলনের মুখে চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়। সামরিক বাহিনী সমর্থনপুষ্ট ড. ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে তত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে। অর্থ উপদেষ্টার দায়িত্ব পেয়ে ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম ২০০৭-২০০৮ ও ২০০৮-২০০৯ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেন।

২০০৯ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাজোট সরকার ক্ষমতা লাভ করলে অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান আবু মাল আবদুল মুহিত। তিনি ২০০৯-২০১০ অর্থবছর থেকে চলতি ২০১৮-২০১৯ অর্থবছর পর্যন্ত টানা ১০টি বাজেট পেশ করেন। এরপর ২০১৯-২০২০ সালে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়ে আ হ ম মুস্তফা কামাল তার প্রথম বাজেট পেশ করেন। এবার নিয়ে তিনি তার পঞ্চম বাজেট উপস্থাপন করতে যাচ্ছেন।

বিভিন্ন অর্থবছরের বাজেটের আকার ও প্রস্তাবকারী অর্থমন্ত্রীদের নাম তুলে ধরা হলো-
১৯৭২-১৯৭৩ তাজউদ্দীন আহমদ ৭৮৬ কোটি টাকা
১৯৭৩-১৯৭৪ তাজউদ্দীন আহমদ ৯৯৫ কোটি টাকা
১৯৭৪-১৯৭৫ তাজউদ্দীন আহমদ ১০৮৪.৩৭ কোটি টাকা
১৯৭৫-১৯৭৬ ড. আজিজুর রহমান ১৫৪৯.১৯ কোটি টাকা
১৯৭৬-১৯৭৭ মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ১৯৮৯.৮৭ কোটি টাকা
১৯৭৭-১৯৭৮ লে. জেনারেল জিয়াউর রহমান ২১৮৪ কোটি টাকা
১৯৭৮-১৯৭৯ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ২৪৯৯ কোটি টাকা
১৯৭৯-১৯৮০ ড. এম এন হুদা ৩৩১৭ কোটি টাকা
১৯৮০-১৯৮১ এম সাইফুর রহমান ৪১০৮ কোটি টাকা
১৯৮১-১৯৮২ এম সাইফুর রহমান ৪৬৭৭ কোটি টাকা
১৯৮২-১৯৮৩ আবুল মাল আবদুল মুহিত ৪৭৩৮ কোটি টাকা
১৯৮৩-১৯৮৪ আবুল মাল আবদুল মুহিত ৫৮৯৬ কোটি টাকা
১৯৮৪-১৯৮৫ এম সায়েদুজ্জামান ৬৬৯৯ কোটি টাকা
১৯৮৫-১৯৮৬ এম সায়েদুজ্জামান ৭১৩৮ কোটি টাকা
১৯৮৬-১৯৮৭ এম সায়েদুজ্জামান ৮৫০৪ কোটি টাকা
১৯৮৭-১৯৮৮ এম সায়েদুজ্জামান ৮৫২৭ কোটি টাকা
১৯৮৮-১৯৮৯ মেজর জেনারেল (অব.) মুনিম ১০৫৬৫ কোটি টাকা
১৯৮৯-১৯৯০ ড. ওয়াহিদুল হক ১২৭০৩ কোটি টাকা
১৯৯০-১৯৯১ মেজর জেনারেল (অব.) মুনিম ১২৯৬০ কোটি টাকা
১৯৯১-১৯৯২ এম সাইফুর রহমান ১৫৫৮৪ কোটি টাকা
১৯৯২-১৯৯৩ এম সাইফুর রহমান ১৭৬০৭ কোটি টাকা
১৯৯৩-১৯৯৪ এম সাইফুর রহমান ১৯০৫০ কোটি টাকা
১৯৯৪-১৯৯৫ এম সাইফুর রহমান ২০৯৪৮ কোটি টাকা
১৯৯৫-১৯৯৬ এম সাইফুর রহমান ২৩১৭০ কোটি টাকা
১৯৯৬-১৯৯৭ এসএএমএস কিবরিয়া ২৪৬০৩ কোটি টাকা
১৯৯৭-১৯৯৮ এসএএমএস কিবরিয়া ২৭৭৮৬ কোটি টাকা
১৯৯৮-১৯৯৯ এসএএমএস কিবরিয়া ২৯৫৩৭ কোটি টাকা
১৯৯৯-২০০০ এসএএমএস কিবরিয়া ৩৪২৫২ কোটি টাকা
২০০০-২০০১ এসএএমএস কিবরিয়া ৩৮৫২৪ কোটি টাকা
২০০১-২০০২ এসএএমএস কিবরিয়া ৪২৩০৬ কোটি টাকা
২০০২-২০০৩ এম সাইফুর রহমান ৪৪৮৫৪ কোটি টাকা
২০০৩-২০০৪ এম সাইফুর রহমান ৫১৯৮০ কোটি টাকা
২০০৪-২০০৫ এম সাইফুর রহমান ৫৭২৪৮ কোটি টাকা
২০০৫-২০০৬ এম সাইফুর রহমান ৬১০৫৮ কোটি টাকা
২০০৬-২০০৭ এম সাইফুর রহমান ৬৯৭৪০ কোটি টাকা
২০০৭-২০০৮ মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম ৯৯৯৬২ কোটি টাকা
২০০৮-২০০৯ মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম ৯৯৯৬২ কোটি টাকা
২০০৯-২০১০ আবুল মাল আবদুল মুহিত ১১৩,৮১৫ কোটি টাকা
২০১০-২০১১ আবুল মাল আবদুল মুহিত ১৩২,১৭০ কোটি টাকা
২০১১-২০১২ আবুল মাল আবদুল মুহিত ১৬৫,০০০ কোটি টাকা
২০১২-২০১৩ আবুল মাল আবদুল মুহিত ১৯১,৭৩৮ কোটি টাকা
২০১৩-২০১৪ আবুল মাল আবদুল মুহিত ২ লাখ ২২ হাজার ৪৯১ কোটি টাকা
২০১৪-২০১৫ আবুল মাল আবদুল মুহিত ২ লাখ ৫০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা।
২০১৫-২০১৬ আবুল মাল আবদুল মুহিত ২লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা
২০১৬-২০১৭ আবুল মাল আবদুল মুহিত ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা।
২০১৭-২০১৮ আবুল মাল আবদুল মুহিত ৪লাখ ২৬৬ কোটি টাকা
২০১৮-২০১৯ আবুল মাল আবদুল মুহিত ৪লাখ ৬৫ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা
২০১৯-২০২০ আ হ ম মুস্তফা কামাল ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি
২০২০-২০২১ আ হ ম মুস্তফা কামাল ৫লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা
২০২১-২০২২ আ হ ম মুস্তফা কামাল ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা
২০২২-২০২৩ আ হ ম মুস্তফা কামাল  ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা
২০২৩-২০২৪ আ হ ম মুস্তফা কামাল (১ জুন ২০২৩ জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করবেন)

/হাসনাত/এসবি/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়