ঢাকা     শুক্রবার   ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

বছিলা নদীপাড়ে ওয়াকওয়ে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:২১, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫  
বছিলা নদীপাড়ে ওয়াকওয়ে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন

পুরাতন প্রাইমারি স্কুল সংলগ্ন ওয়াকওয়ে এলাকায় মানববন্ধন হয়

‘ধরিত্রী রক্ষায় আমরা’ (ধরা) এবং ‘বছিলা এলাকাবাসী’র উদ্যোগে শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে বুড়িগঙ্গা নদীপাড়ে বসবাসরত মানুষের জীবন ও জীবিকা বিনষ্টকারী ওয়াকওয়ে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। পুরাতন প্রাইমারি স্কুল সংলগ্ন ওয়াকওয়ে এলাকায় এই মানববন্ধন হয়।

‘ধরা’র সদস্য সচিব শরীফ জামিরের সভাপতিত্বে এবং নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইবনুল সাঈদ রানার সঞ্চালনায় মানববন্ধনে প্রধান অতিথি ছিলেন ‘ধরা’র উপদেষ্টা এবং নদী রক্ষা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার।

আরো পড়ুন:

মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন ইআরডিএর নির্বাহী পরিচালক মনির হোসেন, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মীর মোহাম্মদ আলী, মিশন গ্রীন বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক আহসান রনি।

এলাকাবাসীর পক্ষে বন্তব্য রাখেন সাগরিকা, সাইফুল ইসলাম, বসিলা মসজিদের খতিব এনামুল হক, কবির হোসেন, শহিদুল ইসলাম, ইমরানুল হক ইমন, রনজিত, হাজী নূর মোহাম্মদ, মোহাম্মদ লাল। 

এছাড়া পরিবেশকর্মী, সাংবাদিক, ধরা এবং বছিলা এলাকার নেতা এবং স্থানীয়রা এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, “আজ এই নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে আমি সত্যি হতাশ হয়েছি।  কীভাবে এমন ধ্বংসাত্মক পরিকল্পনা মাথায় আসে। এই জায়গায় বাচ্চারা দৌড়াতে পারবে না, মৃত্যু ঝুঁকি আছে। এখানে এমনভাবে ওয়াকওয়ে তৈরি করেছে যেনো এটা একটা মৃত্যুফাঁদ। দ্রুত এ পরিকল্পনার পুনর্মূল্যায়ন করে মানুষের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করতে হবে, নদীকেও রক্ষা করতে হবে।”

সভাপতির বক্তব্যে শরীফ জামিল বলেন, “২০০৯ সালে হাইকোর্ট নদী সীমানা নির্ধারণের জন্য যে রায় দিয়েছিল তারই প্রেক্ষাপটে রায়ের তৃতীয় ধাপে সবুজায়ন কিংবা ওয়াকওয়ে নির্মাণ করতে বলা হয়েছে। কিন্তু ত্রুটিপূর্ণ সীমানায় ওয়াকওয়ে নির্মাণের কারণে বিরাট অংশের নদী ও প্লাবন অঞ্চলের জায়গা দখল বাণিজ্য হয়েছে। যেভাবে নদীর সাথে পাড় ও ঢালকে বিচ্ছিন্ন করে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে, তাতে নদীপাড়ের মানুষের যে শুধু জীবন, জীবিকা ও গবাদিপশুকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে তা নয়, বিপুল পরিমাণ দুর্নীতিও হয়েছে। এই দেশে অত্যাচার এবং দুর্নীতি কেবল রাজনৈতিক নেতারাই করেছেন তা নয়, প্রশাসন, পেশাজীবী, ব্যবসায়ী এমনকি পরিবেশবাদী এবং স্থানীয় মানুষেরও একাংশ করেছে। সবাইকে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা প্রয়োজন।”

রিভার বাংলা সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ বলেন, “নদীর পাড়ে এভাবে বাঁধ দেওয়া বেআইনি। এটা ভেঙে নদীকে মানুষের ব্যাবহারের সুযোগ করে দিতে হবে।” 

ঢাকা/এসবি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়