ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ০২ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

একুশভিত্তিক নাট্যগ্রন্থ ‘বাংলা আমার বাংলা’র সম্পাদনার পটভূমি

ড. জেবউননেছা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:১৫, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩   আপডেট: ১২:০৯, ৯ মার্চ ২০২৩
একুশভিত্তিক নাট্যগ্রন্থ ‘বাংলা আমার বাংলা’র সম্পাদনার পটভূমি

ছবি: সংগৃহীত

সব্যসাচী লেখক ও কবি সৈয়দ সামসুল হক ২০১৬ ফেব্রুয়ারি  দৈনিক প্রথম আলোতে একটি একুশের প্রকাশনা: হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত একুশের প্রথম সংকলন ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ নিয়ে স্মৃতিচারণা শীর্ষক প্রবন্ধে একুশের বিভিন্ন সংকলনের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ইতিহাসের কথা জানতে পারি। কবি তাঁর প্রবন্ধের শেষ অনুচ্ছেদে লিখেছিলেন, ‘একুশের সংকলন হাসান যখন করেছিলেন তখন তিনি ভাবতেও পারেননি এর অনুসরণে পরের বছরই কত সংকলন একুশকে কেন্দ্র করে প্রকাশ হতে থাকবে। কিন্তু আজ তাকিয়ে দেখি একুশ আমাদের বইমেলা দিয়েছে, বই প্রকাশের মাস নির্ণয় করে দিয়েছে, কিন্তু কেড়ে নিয়েছিল সংকলন করার প্রেরণা। একুশ নিয়ে সংকলন করার কথা আজ আর কেউ ভাবেই না, এর কারণ কি এটাই যে, আমরা গণহত্যা এবং মুক্তিযুদ্ধের ভেতর দিয়ে গেছি? আর এরই কাছে ম্লান হয়ে গেছে একুশ? অথচ এই একুশ থেকেই তো শুরু, একুশে ফেব্রুয়ারি থেকে ২৬ মার্চ, বায়ান্ন থেকে একাত্তর। হাসান বেঁচে থাকলে আজ তার বয়স হতো তিরাশি। আজ বেঁচে থাকলে, আমি কল্পনা করি, তিনি একটি নতুন সংকলনের কথা ভাবতেন একুশকে নিয়ে। বাংলাকে আমরা কোথায় রেখেছি, কীভাবে রেখেছি এ নিয়ে তীব্র ও কষাঘাত রূপেই হাসান সংকলনটি করতেন বলে আমি বিশ্বাস করি। তেপ্পান্নতে হাসানের একুশের সংকলন সম্পাদনার স্মৃতি বায়ান্নর চেয়েও আমি অধিকবোধ করছি আজকের দিনে একুশকে নিয়ে, আমাদের ভাষাকে নিয়ে, আমাদের ভাষা ব্যবহার ও জাতীয় জীবনে মাতৃভাষার অবস্থান নিয়ে নতুন সংকলনের পর সংকলন প্রকাশের তাগিদ-আজকের হাসানদের জন্য রেখে’।

এরপর ভাষা আন্দোলনভিত্তিক নাটকের বিষয়ে অনুসন্ধান করে খুঁজে পাই ১৩৯০ বাংলা সনে, ৪ ফাগুন, রোজ বৃহস্পতিবার ‘দৈনিক সংবাদ’ পত্রিকায় ‘একুশের নাটক’ প্রবন্ধে মোহাম্মদ জয়নুদ্দীন লিখেছেন, এই ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে গড়ে উঠেছে ‘কবর’ নাটকের অবয়ব। তবে স্বয়ং নাট্যকার বলেছেন, শুধুমাত্র ‘কবর’ নাটকটিকে একুশের তাৎপর্য খোঁজা হলে খানিকটা ভুলই বরং করা হবে। ১৯৭৯ সালে মমতাজউদ্দীন আহমদ ‘বিবাহ’ নাটকটি রচনা করেন। নাটকটি সম্পর্কে নাট্যকারের ভাষ্য ,‘মহান ভাষা আন্দোলনের অন্যতম শহীদ প্রসঙ্গে‘ বিবাহ’ নাটকের বিষয় কল্পিত।

ছোটবেলায় জেনেছি আমার বাবা কবি ও নাট্যকার মু. জালাল উদ্দিন নলুয়ার অসংখ্য লেখা নাটকের মধ্যে একটি একুশের ইতিহাসভিত্তিক একটি নাটক রয়েছে। যে নাটকটি তিনি লিখেছিলেন ১৭ মাঘ, ১৩৮৬ বাংলা এবং ১ ফেব্রুয়ারি,১৯৮০ সালে। নাটকটি আমার জন্মবছরে ২১.০১.১৯৮০ সালে  সুদূর সন্দ্বীপে মঞ্চস্থ হয় এরপর নারায়ণগঞ্জ জেলায় মঞ্চস্থ হয় দুইবার। বাবার সাথে নাটকটি নিয়ে কথা বলে জেনেছিলাম, বাংলাদেশে একুশ নিয়ে লেখা আছে অনেক, কিন্তু একুশের উৎস ও একুশের সত্য ঘটনা দিয়ে নাটক বা সাহিত্যের বড্ড অভাব। আমি নিজ তাগিদে বাবার সাথে কথা বলে তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে নাটকের পাণ্ডুলিপি চাই। নাটকটির নাম ‘বাংলা আমার বাংলা’।

নাটকটি পড়ে বিস্মিত হই। কিভাবে আজকের এই বর্ণমালা আমাদের জবানিতে। নাটকটির সংলাপ  থেকে জানা যায়, ‘পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার এক মাস আগেই গণআজাদী লীগ ঘোষণা দিয়েছে, বাংলা আমাদের রাষ্ট্রভাষা, বাংলা হবে পূর্ববাংলার রাষ্ট্রভাষা। পূর্ব পাকিস্তানের রেঁনেসা সোসাইটি পাকিস্তান সৃষ্টির তিন বছর আগেই ঘোষণা দিয়েছে পূর্ব পাকিস্তানের ভাষা হবে বাংলা। সাহিত্যিক এয়াকুব আলী চৌধুরী স্বাধীনতার বহু আগে থেকেই লিখেছেন, বাঙালি মুসলমানদের মাতৃভাষা বাংলা। এটা দিনের আলোর মতো সত্য। বাংলাদেশে উর্দু চালানোর চেষ্টা আকাশে ঘর বাঁধার মতই নিষ্ফল হবে। এরকম আরও  অনেক তথ্য ‘বাংলা আমার বাংলা’ নাটকটিতে দেখা যায়। নাটকের প্রত্যেকটি চরিত্রই ঐতিহাসিক। পুরো নাটকটি পড়ে নিজের মধ্যে অপরাধবোধ কাজ করতে লাগল। কেন এই নাটকটি এতদিন প্রকাশের উদ্যোগ গ্রহণ করিনি।

নাটকের শেষ সংলাপটি আমাকে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করে। সংলাপটি এরকম, ‘বাংলা মা আমার, তোমাকে মা বলে ডাকার অপরাধে আমাকে জীবন দিতে হচ্ছে। কিন্তু এতে আমার একটুও দুঃখ নেই। এ মরণে আমার শান্তি। ..বাংলা মা, তোমার বুকে আমি ঠাঁই নেবো। তুমি কি আমাকে আশ্রয় দেবে না। তোমাকে মা বলে ডাকতে পারবো না। ঠিকই তবে তোমার বুকের মাঝ থেকে যে কেউ আমাকে ছিনিয়ে নিতে না পারে। ..মা....বাংলা আমার বাংলা।’

নাট্যকার তার নাটকের আর এক পর্যায়ে বলেন, ‘ভুলে গেলে চলবে না। বায়ান্ন একুশের শহীদদের রক্তের আখরে এঁকে দিয়েছে স্বাধিকারের পথ। রক্ত, প্রচুর রক্ত। সাগর, সাগর রক্ত ঢেলে বাংলা মুক্ত হয়েছে। সৃষ্টি হয়েছে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ”।

উক্ত গ্রন্থ সম্পর্কে ‘বাংলা আমার বাংলা’ বিষয়ে নাট্যকার বলেন, আমাদের জাতীয় জীবনের তাৎপর্যপূর্ণ ও দিক নির্দেশক মহান একুশে স্মরণে নাটক লেখা আমার দীর্ঘদিনের লালিত একটি স্বপ্ন। কিন্তু প্রয়োজনীয় তত্ত্ব ও তথ্যের অভাবে এ কাজে হাত দেইনি। সন্দ্বীপে যখন ২১ ফেব্রুয়ারি ’৮০ সনে এ নাটকের সফল মঞ্চায়ন হলো তখন একুশ নিয়ে আমার একান্ত নিজস্ব চিন্তাধারাই রূপায়িত হলো।

নাটকটির পাণ্ডুলিপিতে প্রথম থেকেই অ-বাঙালির একটি চরিত্র ছিলো। এ প্রসঙ্গে ভাষা আন্দোলনের আদি পর্বের লেখক আ. হক বলেন, ‘উর্দু রাষ্ট্রভাষার পেছনে পশ্চিম পাকিস্তানি এবং পাকিস্তানে আগত উত্তর ভারতীয় মুসলমানদের সাম্রাজ্যবাদী ও ঔপনিবেশিক মনোভাব তো ছিলই সেই সাথে বাঙালি সমাজের অনেকের উর্দুমুখী মানসিকতাও ছিল তাদের পক্ষে।’

এই সুবিধাবাদী বাঙালিদের বিষয়ে আবুল মুনসুর আহমদ তার ‘আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর’ গ্রন্থে লিখেছেন, ‘পূর্ব বাংলার স্বার্থের কথা বলিয়া পাকিস্তানি নেতৃত্বের বিরাগভাজন হতে কেউ প্রস্তুত ছিলেন না।’ এই সুবিধাবাদীদের চরিত্র প্রথম মঞ্চায়নেও ছিলো- তবে ৮২ সালের ৩য় মঞ্চায়নে সুবিধাবাদী আরও তিনটি চরিত্র সংযুক্ত করা হয়েছে।’

ভাষা আন্দোলনে বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা প্রসঙ্গে আ. হক এর একটি উঁক্তি অর্থবহ এবং তাৎপর্যপূর্ণ। সেটি হলো একটি রাষ্ট্রের সব কাজই রাজনৈতিক নেতাদের দ্বারা হতে পারে না। সব বিষয়েই তারা বিশারদ নন। আ. হক ভাষা প্রশ্নে ভাষাবিদদের মত নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।সঙ্গত কারণেই আমার নাটিকায় লেখক-বুদ্ধিজীবী সাংবাদিক সাহিত্যিকদের অনেকেই স্বনামে এসেছেন। ভাষা আন্দোলনের তাঁদের ভূমিকা ছিল সূর্যের মতো সত্য।

তবে ভাষা আন্দোলনের সেই সংগ্রাম মুখর দিনগুলিতে তৎকালীন যুব-ছাত্রের ভূমিকা প্রণিধানযোগ্য। তারা বলিষ্ঠ ভূমিকা নিয়েছেন পরিষদ ভবন ঘেরাও ধর্মঘট হরতাল ইত্যাদিতে। এদের কেউ কেউ পরবর্তী সময়ে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। স্বাধীন বাংলাদেশে বাংলা এখনও সর্বস্তরে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এর কারণ খুঁজে বের করতে হবে। এই কারণ খোঁজার প্রয়াসে ভূমিকার কলেবরের দীর্ঘসূত্রীতায় আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি সহৃদয় পাঠকের কাছে। ‘বাংলা আমার বাংলা’ মঞ্চায়ন করার জন্য  শুভেচ্ছা জানাই সন্দ্বীপ শহর শাখা ছাত্রলীগ (৮০ ইং) শীতলক্ষা মুক্ত স্কাউট দল (৮২) ইং ও নারায়ণগঞ্জ নাট্যানুরাগ (৮১) সব কলাকুশলী ও শিল্পী। ’

নাটকটি পড়ে  এবং নাট্যকারের মন্তব্যের পর আমি দ্বারস্থ হলাম জাতীয় অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম স্যারের কাছে। তাকে পাণ্ডুলিপি দিলাম। স্যার পাণ্ডুলিপি পড়ে ১৪ লাইনের  মন্তব্য প্রদান করলেন, যার শেষ লাইনটি ছিলো এরকম, ‘নাটকটি ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে একটি পর্বের প্রামাণ্য দলিল হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। ’

স্যারের এই মন্তব্যের পর দ্বারস্থ হলাম ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন স্যারের কাছে। তিনি নাটকটি পড়ে মন্তব্যের এক পর্যায়ে লিখলেন, ‘নাট্যকার সুদক্ষভাবে ইতিহাস ঘটনা, ব্যক্তি, ভাষা আন্দোলনের পক্ষ বিপক্ষ তুলে ধরেছেন। তথ্যের ভারে আক্রান্ত হয়নি নাটকটি। নাট্যরূপ দিতে গিয়ে ইতিহাসের ঘটনা ও তথ্যকে বাড়িয়ে বলেননি। নাটকটি পড়লে মনে হবে পাঠক ’৫২ সালে ফিরে গিয়েছেন এবং পাঠক হয়ে উঠবেন একজন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী।”

অতঃপর পাণ্ডুলিপিটি নিয়ে দ্বারস্থ হলাম নাট্য নির্দেশক এবং নাট্যাভিনেতা মঞ্চসারথী আতাউর রহমান স্যারের কাছে। তিনি নাটকটি পড়ে জানালেন, মু. জালাল উদ্দিন নলুয়ার নাট্য প্রয়াস প্রশংসনীয়। তাঁর নাটক ও কাব্যে রয়েছে বাঙালি ও বাঙালিত্বের দীপ্ত ও সুন্দর বহিঃপ্রকাশ।’

ভাষা আন্দোলনের একজন প্রত্যক্ষদর্শী শ্রদ্ধেয়জন অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম স্যার, একজন প্রসিদ্ধ ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন স্যার এবং নাট্যজন আতাউর রহমান স্যারের কাছ থেকে নাটকটি সম্পর্কে ইতিবাচক মূল্যায়ন আমাকে আশাবাদী করে তোলে। এই আশাবাদী ব্যঞ্জনা থেকে নাটকটির সম্পাদনা করার উদ্যোগ গ্রহণ করি। 

উল্লেখ্য, নাটকের নাট্যকার ‘বাংলা আমার বাংলা’ নাটকটি লেখার সময় নাট্যকার ১৭টি একুশভিত্তিক গ্রন্থ এবং তথ্য সংগ্রহ করে লিখেছেন। নাটকটিতে ১৪টি চরিত্র রয়েছে। একুশের তথ্যে ও তত্ত্বে পরিপূর্ণ প্রথম এই নাটকটি অনাগত প্রজন্মের কাছে একুশের ইতিহাসের স্বাক্ষী হয়ে বেঁচে থাকবে। তবে উক্ত গ্রন্থটি শুধু একটি নাটক দিয়েই আবর্তিত নয়। কবি ও নাট্যকার মু. জালাল উদ্দিন নলুয়া রচিত-একুশের ৫টি নাটিকা, ৫টি নিবন্ধ ও রয়েছে গ্রন্থটিতে। আমি মনে করি, উক্ত লেখাগুলো একুশভিত্তিক ইতিহাসের গ্রন্থগুলোর একটি নব্য সংযোজন হবে। বিশেষ করে- “বাংলা আমার বাংলা” নাটকটি শিক্ষাক্ষেত্রে প্রত্যেক স্তরে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে আনবে একুশের চেতনা। ইতিহাসকে নতুন করে জানার প্রেরণা, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে নাটক ও থিয়েটার স্টাডিজ বিভাগের জন্য একটি অনন্য সংযোজন হবে বলে আমি অকপটে দাবি নিয়ে বলতে পারি।

এজন্যই দ্বিধাহীন চিত্তে বলতে পারি, ‘বাংলা আমার বাংলা’ নাটকটি একুশভিত্তিক, একুশ কেন্দ্রিক, একুশের তত্ত্বে ও একুশের তথ্যে পূর্ণ একুশের মূল তথ্যসমৃদ্ধ একুশের একমাত্র নাটক। নাটকটি পরবর্তীতে যুগে যুগে একুশ নিয়ে গবেষণা করার জন্য একটি রেফারেন্স হিসেবে কাজ করবে। আগত প্রজন্মের কাছে জ্বলজ্বল করে জ্বলবে একুশের ইতিহাস। গ্রন্থটি প্রকাশ করেছে অনন্যা প্রকাশনী। প্রচ্ছদ একেঁছেন ধ্রুব এষ।  দাম ১৫০ টাকা। 

নব প্রজন্ম যারা একুশ সম্পর্কে কৌতুহলী তাদের জন্য রেখে গেলাম আমার সম্পাদিত কবি ও নাট্যকার মু. জালাল উদ্দিন নলুয়া রচিত ‘বাংলা আমার বাংলা’ গ্রন্থটি। ২১ ফেব্রুয়ারির এই দিনে আমি অবনতমস্তকে শ্রদ্ধা জানাই তাদেরেকে যারা বাংলা ভাষাকে মাতৃভাষায় রূপান্তরের জন্য অকাতরে কাজ করে গেছেন, প্রাণ দিয়েছেন। সেই সাথে সব্যসাচী কবি সৈয়দ শামসুল হক সারের প্রাণের আকৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানালাম, যিনি চেয়েছিলেন, আমাদের প্রজন্মের কেউ যেন একুশ নিয়ে কোন কাজে হাত দেয়।  তাই বিনয়ের সাথে শ্রদ্ধেয় কবি সৈয়দ শামসুল হকের যে স্বপ্ন প্রত্যাশা তারই ক্ষুদ্র প্রতিফলন আজকের হাসান হয়ে একুশের সংকলন করে দিলাম। যে সংকলনের নাম ‘বাংলা আমার বাংলা’। 

লেখক: অধ্যাপক, লোকপ্রশাসন বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

/সাইফ/

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়