ঢাকা     বুধবার   ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ২ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

কপ-৩০ সম্মেলনের আগেই টেকসই অর্থায়নের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক ও ঢাবি প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:০৭, ৮ নভেম্বর ২০২৫   আপডেট: ২১:৪৯, ৮ নভেম্বর ২০২৫
কপ-৩০ সম্মেলনের আগেই টেকসই অর্থায়নের দাবি

কপ-৩০ সম্মেলনকে সামনে রেখে বাংলাদেশের জন্য ন্যায্য, স্বচ্ছ ও টেকসই অর্থায়নের দাবি জানাতে এক ভিন্নধর্মী ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়েছে।

শনিবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে যুবকদের নিয়ে ‘ফেয়ার ফাইন্যান্স নাও: বাংলাদেশ’স কল বিফোর কপ৩০’ শীর্ষক এ ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়।

আরো পড়ুন:

প্রোগ্রামটি যৌথভাবে আয়োজন করে ফেয়ার ফাইন্যান্স বাংলাদেশ কোয়ালিশন, অক্সফাম ইন বাংলাদেশ, পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকশন নেটওয়ার্ক এবং ডেমোক্রেটিক বাজেট মুভমেন্ট। এছাড়াও সহযোগী হিসেবে যুক্ত ছিল প্রচেষ্টা ইয়ুথ ফাউন্ডেশন, সৌহার্দ্য ইয়ুথ ফাউন্ডেশন, আমরাই আগামী এবং শাওন মাইম একাডেমি।

ক্যাম্পেইনে জনসচেতনতা প্রদর্শনী এবং মাইম পরিবেশনার মাধ্যমে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত কীভাবে পরিবেশ ও সমাজে প্রভাব ফেলে তা তুলে ধরা হয়। যুব অংশগ্রহণকারীরা প্ল্যাকার্ড ও সৃজনশীল বার্তার মাধ্যমে নবায়নযোগ্য জ্বালানি, সামাজিক অন্তর্ভুক্তি ও জলবায়ু সহনশীলতার পক্ষে সচেতনতা তৈরি করেন।

এ সময় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা এবং নিম্ন-কার্বন উন্নয়নপথে যেতে বছরে ১২.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন হলেও বর্তমানে দেশটি এর কম ১১ শতাংশ অর্থায়ন পাচ্ছে। ন্যায্য অর্থায়ন কাঠামো না থাকলে জলবায়ু অভিযোজনের দায় ও ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি পড়ে প্রান্তিক ও ঝুঁকিপূর্ণ সম্প্রদায়ের উপর।

পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকশন নেটওয়ার্কের প্রজেক্ট কোওর্ডিনেটর মোসলে উদ্দিন সূচক গণমাধ্যমে বলেন, “জলবায়ু অর্থায়ন কোনো দান নয়- এটি ন্যায্যতার প্রশ্ন। যে সঙ্কট বাংলাদেশ তৈরি করেনি, তার আর্থিক ঝুঁকি বহন করে স্থিতিস্থাপকতা গড়ে তোলা সম্ভব নয়।”

তিনি বলেন, “এই উদ্যোগের লক্ষ্য হলো টেকসই অর্থায়ন সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, নীতিনির্ধারণী প্রক্রিয়ায় যুব অংশগ্রহণকে শক্তিশালী করা এবং কপ৩০ সম্মেলনে বাংলাদেশে জন্য সহজলভ্য, অনুদানভিত্তিক জলবায়ু অর্থায়নের দাবিকে আরো জোরালোভাবে তুলে ধরা।”

অনুষ্ঠানটি সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান, আর্থিক খাত, এবং সিভিল সোসাইটির মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বানের মাধ্যমে শেষ করা হয়, যাতে বাংলাদেশ একটি ন্যায্য, সহনশীল এবং টেকসই অর্থনীতির পথে অগ্রসর হতে পারে।

ঢাকা/রায়হান/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়