জাকিরের ১ রানের আক্ষেপ, বিসিএল ফাইনালে ইষ্ট জোন-নর্থ জোন

সতীর্থের ডাকে সাড়া দিয়ে নিজের বিপদ নিজে ডেকে আনেন জাকির হাসান। বিসিবি ইষ্ট জোনের এই ব্যাটসম্যান ৯৯ রানে ব্যাটিং করছিলেন। সতীর্থ মাহমুদুল হাসান জয়ের সিঙ্গেলের ডাকে সাড়া দিয়ে এগিয়ে যান জাকির। কিন্তু কভার থেকে মোহাম্মদ মিথুনের সরাসরি থ্রোতে ভাঙে স্ট্রাইক প্রান্তের উইকেট। ডাইভ দিয়েও নিজের উইকেট বাঁচাতে পারেননি জাকির। 

৯৯ রানে রান আউট হয়ে ফিরতে হয় তাকে। ১ রানের আক্ষেপ নিয়ে জাকির ড্রেসিংরুমে ফিরলেও তার ব্যাটে ভর করে ম্যাচ জিতেছে ইষ্ট জোন। সাউথ জোনকে তারা ৭ উইকেটে হারিয়েছে।

কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের গ্রাউন্ড-২ এ আগে ব্যাটিং করতে নেমে সাউথ জোন ২০৭ রানে গুটিয়ে যায়। ৪১.৩ ওভারে শেষ হয়ে যায় তাদের ইনিংস। জবাবে ইষ্ট জোন ১১ ওভার বাকি থাকতে জয় নিশ্চিত করে। এই জয়ে তাদের ফাইনাল নিশ্চিত হয়। 

এদিকে প্রথম দুই ম্যাচে জয়ের পরও আজ তৃতীয় রাউন্ডে হেরে যাওয়ায় ফাইনাল নিশ্চিত করতে পারেনি সেন্ট্রাল জোন। রান রেটে তাদের টপকে ফাইনালে গেছে বিসিবি নর্থ জোন। ৩০ ডিসেম্বর মিরপুরে দিবারাত্রির ফাইনালে মুখোমুখি হবে ইষ্ট জোন ও নর্থ জোন।

জাকির ১০৭ বলে ১১ চার ও ৩ ছক্কায় ৯৯ রান করেন। জয়ের ব্যাট থেকে আসে ৫৪ রান। এছাড়া শাহাদাত হোসেন দিপু ২৮ ও মুমিনুল ৬ রানে অপরাজিত থেকে ইষ্ট জোনের জয় নিশ্চিত করে। ইনিংসের শুরুতে পারভেজ হোসেন ইমনের ব্যাট থেকে আসে ১৮ রান। 

এর আগে দিনের শুরুতে ইষ্ট জোনকে জয়ের পথে এগিয়ে নেন স্পিনার নাঈম হাসান। ডানহাতি অফস্পিনার ৫৫ রানে পেয়েছেন ৪ উইকেট। এছাড়া নাসুম পেয়েছেন ২ উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন খালেদ, রাজা, জয় ও মুমিনুল। 

সাউথ জোনের হয়ে ব্যাট হাতে বলার মতো কেউ ভালো করতে পারেননি। মোসাদ্দেক ৫৩ বলে ৩টি করে চার ও ছক্কায় সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেন। এছাড়া আশিকুর রহমান শিবলি ৩৮, মার্শাল ২৭, মিথুন ২৪ রান করেন। তাতে কোনোমতে দুইশর বেশি রান করে সাউথ জোন। ওই রান জাকিরের ৯৯ রানের ইনিংসে ভর করে অনায়াসে পেরিয়ে যায় ইষ্ট জোন।