লন্ডনে আমার দ্বিতীয় দিন (পর্ব-২)
রিয়াদ আরেফিন রিমন || রাইজিংবিডি.কম
লন্ডনে প্রথম রাত্রিযাপনের পর রওনা হলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশে। প্রায় দুই ঘণ্টার পথ, আমি জীবনে প্রথমবার এখানে এসেছি, রাস্তা না চেনাটাই স্বাভাবিক।
আমার দুইভাই তাই আমার সঙ্গে রওনা হলেন। তাদের দুজনের কাছে আমি ব্যক্তিগতভাবে অনেক কৃতজ্ঞ। এখানকার ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থা অনেক উন্নত। সব জায়গায় ট্রান্সপোর্ট কার্ড ব্যবহার করা হয়। কার্ড রিডার মেশিনগুলো অনেক শক্তিশালী। পকেটে থাকা কার্ড অটোমেটিক কার্ডগুলো রিড করে নিয়ে ব্যালেন্স কেটে নেয়।
অবশেষে আমি বিশ্ববিদ্যালয় পৌঁছালাম। সেখানকার পরিবেশ দেখে আমি খুবই মুগ্ধ হলাম, এক মুহূর্তের জন্য মনে হচ্ছিল আমি স্বপ্ন দেখছি। আশেপাশে পাহাড়ের উপর সব ঘর-বাড়ি আর তারই সামনে আমার বিশ্ববিদ্যালয়টি অবস্থিত। এত অসাধারণ লেগেছিল যে, ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকামাত্র আমি আমার রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়াটি শেষ করলাম। ওইদিন কাজটি শেষ করতে না পারলে হয়তো পরের দিনই আমাকে দেশে ফিরে যেতে হতো।
এরপর আমি বেরিয়ে পড়লাম কাছাকাছি একটি বাসা খোঁজার জন্য। প্রায় ২০ মিনিট হাঁটার পর একটি বাসা খুঁজে পেলাম। বাসাটি ছিল সাবলেট বাসা, মালিক পাকিস্তানি। ছোট্ট একটি রুম, রান্নাঘর এবং টয়লেট শেয়ার করতে হবে। আমি প্রথমেই টয়লেট দেখতে চলে গেলাম, কারণ পানি ব্যবহার করার ব্যাপারটি আমার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বুঝতে পারলাম এখানেও সেই একই অবস্থা। তবে বেসিন থেকে পানি এনে কাজ সারা যাবে।
বাসাটির ভাড়া বাংলাদেশি টাকায় প্রায় পয়ত্রিশ হাজার (৩৫০০০) ছিল। লন্ডন হিসেবে এটিই ছিল মোটামুটি কম ভাড়ার বাসা। আমি অ্যাডভান্স পেমেন্ট করে দিলাম ও ভাইয়ের সঙ্গে ট্রেন ধরে তার বাসায় ফিরে আসলাম। এরপর খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ঘুমিয়ে পড়লাম।
লেখক: ব্যারিস্টার এট ল, নর্থাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি, লন্ডন।
সাফায়েত/মাহি
আরো পড়ুন