ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

একটি অসমাপ্ত ভ্রমণ 

রাকিবুল হাসান, গবি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:২৯, ১২ জানুয়ারি ২০২২   আপডেট: ১১:৩৪, ১২ জানুয়ারি ২০২২
একটি অসমাপ্ত ভ্রমণ 

বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শেষ সময়গুলো ব্যস্ততার মধ্যেই কেটে যায়৷ চাকরির প্রস্তুতি, ক্লাস-পরীক্ষাসহ নানা দায়িত্ব এসে পরে একসঙ্গে। তবুও থেমে থাকে না আড্ডা কিংবা ঘোরাঘুরি। করোনায় অনেক দিন কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয়নি। হঠাৎ টং দোকানে চায়ের কাপ হাতে বন্ধুরা বলে, কোথাও ঘুরতে যাওয়া হোক। পরিকল্পনাও হয় মিডটার্ম শেষে ঘুরতে যাবো।

কিন্তু, সেবার আর যাওয়া হয়নি! পরে তানজুম, বিথী, লিমা, টুছি ও মতিউর ঠিক করে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কাছে কোথাও যাওয়া প্রয়োজন। গন্তব্য বেছে নেয় সাভার গণ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৭১ কিলোমিটার দূরের জেলা ‘টাঙ্গাইল’। সকাল ৭টায় রওয়ানা হওয়ার কথা হলেও বাসে যখন উঠি তখন ঘড়িতে ১১টা। তারপরও তিনজন বাকি রয়ে যায়৷ পরের বাস ধরে রওনা দেয় আতিক, মতিউর ও মীম। ঘণ্টা দেড়েকের মধ্যে টাঙ্গাইলের মহেরা জমিদার বাড়িতে বিজয়, রুকু, ইশরাতসহ ৭জন পৌঁছে যাই।

জমিদার বাড়ি প্রবেশের আগেই চোখে পরে ‘বিশাখা সাগর’ নামের বিশাল এক দীঘির। পরের বাসে রওনা দেওয়া বন্ধুরা জানায়, তাদের আসতে ৩০ মিনিট লাগবে। তাই জমিদার বাড়ির ভেতরে প্রবেশের আগে চারপাশ ঘুরে দেখলাম। জমিদার বাড়ির উল্টো দিকে রয়েছে পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের একাডেমিক ভবন।

অবশেষে সবাই একসঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করি। মূল ফটকের পরেই দেখা যায় চৌধুরী লজের৷ পাশাপাশি আছে আরও দুইটি লজ। ভবনগুলো দেখতে প্রায় একই রকম। একটি ভবন দেখা শেষে আরেকটি ভবনে যেতে থাকি৷ পুলিশের প্রশিক্ষণ চলায় লজের ভেতরে যাওয়ার অনুমতি ছিল না। দৃষ্টিনন্দন লজগুলো দেখা শেষে পাসরা ও রানী পুকুর পারে খানিকটা বিশ্রাম করি। পুকুরের পাশেই আছে রঙিন মাছে ভরা অ্যাকুরিয়াম৷ আরও রয়েছে লোহার তৈরি টেবিল ও চেয়ার। জাদুঘর দেখে মহেরা থেকে বেরিয়ে পরি। তখন দুপুর ৩টা।

এবারের গন্তব্য ২০১ গম্বুজ মসজিদ। বিথীর ব্যস্ততা থাকায় সে বিদায় নেয়৷ গোপালপুরে বন্ধু ইমরানের বাড়ি। মসজিদে যাওয়ার আগে ইমরানের বাড়িতে যাই এবং তাদের রাইস মিল পরিদর্শন করি। পরে দুপুরের খাবার সেরে নেই। বেলা ডুবে গেছে। অটোরিকশায় চেপে পৃথিবীর সর্বোচ্চ গম্বুজের মসজিদে পৌঁছে যাই৷ রাত হয়ে যাওয়ায় আক্ষেপ থাকলেও এই মসজিদ এনে দেয় প্রশান্তি। 

কারুকার্যে পরিপূর্ণ বিশাল এই মসজিদ এখনো নির্মাণাধীন। রাতের শেষ বাসে ক্যাম্পাসে ফিরি৷ এভাবেই গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের ৬ষ্ঠ ব্যাচের ভ্রমণ অসমাপ্ত থেকে যায়...।

লেখক: শিক্ষার্থী ও ক্যাম্পাস সাংবাদিক, গণ বিশ্ববিদ্যালয়, সাভার।

/মাহি/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়