ঢাকা     মঙ্গলবার   ২১ মে ২০২৪ ||  জ্যৈষ্ঠ ৭ ১৪৩১

সম্মান সমতুল্য সনদ চান ইবির ফলিত রসায়নের শিক্ষার্থীরা

ইবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৩৩, ৩০ এপ্রিল ২০২৪  
সম্মান সমতুল্য সনদ চান ইবির ফলিত রসায়নের শিক্ষার্থীরা

ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রির পাশাপাশি (সম্মান) সমতুল্য সনদপত্রে চেয়ে আবেদন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর ১টা থেকে উপাচার্যের বাসভবনে সামনে অবস্থান করেন তারা।

পরে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. আমজাদ হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে শিক্ষার্থীরা তার কাছে আবেদনপত্রটি প্রদান করেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, বর্তমান কারিকুলাম অনুযায়ী ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে স্নাতক ইঞ্জিনিয়ারিং সনদ প্রদান করায় বিসিএসহ (শিক্ষা) বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে পারছি না। এজন্য গত বছর ৭ ফেব্রুয়ারি স্নাতক (সম্মান) সমতুল্য সনদপত্রের জন্য একটি আবেদনপত্র জমা দেওয়া হয়। আবেদনটি পর্যলোচনা করে ওই বছরই ২০ ফেব্রুয়ারি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদে ১২তম অনুষদীয় সভায় ৬০ নং সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গৃহীত হয়।

পরে ২৮ মে ১২৬তম অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে এবং ২৯ মে ২৫৯তম সিন্ডিকেট সভায় গৃহিত হয়। এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা বিসিএস, শিক্ষক নিবন্ধন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ অন্যান্য চাকরি পরীক্ষার আবেদন সম্পূর্ণ করেছি এবং সমতুল্য সনদ উত্তোলনের জন্য টাকাও জমা দেওয়া হয়েছে।

কিন্তু তারা পরবর্তীতে জানতে পারেন, তাদের স্নাতক (সম্মান) সমতুল্য সনদপত্র প্রদানের জন্য গৃহীত সিদ্ধান্তটি ১২৭তম অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে বাতিল করা হয়। এ অবস্থায় তারা সমতুল্য (সম্মান) সনদ না পেলে বিসিএস (শিক্ষা), শিক্ষক নিবন্ধন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ সব চাকরির আবেদন বাতিল হয়ে যাবে এবং ভবিষ্যতে এসব সুবিধা থেকে বিভাগের শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হবে।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একমত পোষণ করে ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. শরিফ মো. আল-রেজা বলেন, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে যেহেতু এমন সুবিধা দেওয়া হচ্ছে, তাহলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়েও দেওয়া উচিত। যাতে শিক্ষার্থীরা চাকরি ক্ষেত্রে সুযোগ পায়। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. আমজাদ হোসেন বলেন, আমি শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে আবেদনপত্রটি নিয়ে উপাচার্যের পিএস এর নিকট হস্তান্তর করেছি। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, আমি এ বিষয়ে এখনো কোনো আবেদন পায়নি। আমার অফিসে এ রকম আবেদন আসলে আমি বিষয়টা দেখব। তবে এ সংক্রান্ত বিষয় অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের বিষয়বস্তু।

উল্লেখ্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ইঞ্জিনিয়ারিং সনদের পাশাপাশি স্নাতক (সম্মান) সমতুল্য সনদপত্র প্রদান করছে।

/ইদুল/মেহেদী/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়