ঢাকা     বুধবার   ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ২ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

ছাত্রদল নেতাকে হুমকি দিয়ে পিটুনি খেলেন গোবিপ্রবি কর্মচারী

গোবিপ্রবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:১৭, ১৩ মে ২০২৫   আপডেট: ২১:৩২, ১৪ মে ২০২৫
ছাত্রদল নেতাকে হুমকি দিয়ে পিটুনি খেলেন গোবিপ্রবি কর্মচারী

গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (গোবিপ্রবি)

গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (গোবিপ্রবি) শাখা ছাত্রদলের কয়েকজন নেতাকে হুমকি দেওয়ায় মারপিটের শিকার হয়েছেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের কর্মচারী ইয়াসিন শিকদার। শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বিদ্যুতের অনুসারীরা এ মারপিট করে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (১২ মে) রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউমার্কেট এলাকায় এ মারধরের ঘটনা ঘটে।

আরো পড়ুন:

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্বাধীনতা দিবস হলের কর্মচারী রাজীব বিভিন্ন সময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের সঙ্গে তার ছবি আছে দাবি করে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের দুর্ব্যবহার করতেন। এছাড়া তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের কোনো নেতাকেও পাত্তা দিতেন না। এসব নিয়ে কথা বলতে গেলে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি শুরু হয়।

এর একপর্যায়ে গোবিপ্রবির বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের কর্মচারী ইয়াসিন শিকদার শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বিদ্যুৎকে ধমক দিয়ে চুপ করতে বলেন। পরে ওই দুই কর্মচারী ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। তবে রাতে ইয়াসিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে আসলে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা তাকে মারপিট করেন।

শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের কর্মচারী ইয়াসিন শিকদার বলেন, “নিউ মার্কেটে আমার এক কলিগের সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিল। পরবর্তীতে মিটমাট হয়ে যায়। আমি শুনে সেখানে যায়, আমার সঙ্গে দুই-একটা কথা কাটাকাটি না হতেই বিদ্যুতের ১৫-২০ জন অনুসারী হামলা করে। তারা আমার কান ফাটিয়ে দিয়েছে। এর আগে আমার সঙ্গে কারো ঝামেলা ছিল না।”

ছাত্রদলের কেউ মারধর করেননি দাবি করে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বিদ্যুৎ বলেন, “সে সবসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। সে বলে বেড়ায়, গোপালগঞ্জে কেউ তাকে কিছু বলার সাহস নেই এই সময়েও। সে আজ হেডম দেখিয়ে খারাপ আচরণ করায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাকে মেরেছে।”

ছাত্রদলের সভাপতি দুর্জয় শুভ বলেন, “তার (ইয়াসিন শিকদার) সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের ভালো সম্পর্ক। ঝামেলা মূলত তার সঙ্গে নয়, ঝামেলা ছিল তার এক কলিগের (কর্মচারী রাজিবের) সঙ্গে। তিনি স্বাধীনতা দিবস হলের একজন কর্মচারী। তার কাছে বিএনপির মির্জা ফখরুলের ইসলামের সঙ্গে উঠা একটা পিক ছিল। এটা আমাকে দেখিয়ে বলে এসব জায়গায় যেতে হলে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করিস। এটা ছিল পূর্বের ঘটনা।”

তিনি বলেন, “সোমবার নিউমার্কেটে অন্য একটা বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হচ্ছিল তার কলিগ কর্মচারী রাজিবের সঙ্গে। রাজিব মিমাংসা করে চলে যায়। এরপর তাকে আসার জন্য কল দেয় ইয়াসিন। কিন্তু তাকে (রাজিব) আমরা নিষেধ করা স্বত্বেও আসে। আসার পর সে বড় বড় হেডম দেখাতে থাকে। একপর্যায়ে দুই একটা কথা কাটাকাটি হতেই ইয়াসিন শিকদার বলেন, ‘ওই বিদ্যুৎ, তুই চেপে যা।’ এরপরই মূলত ঘটনাটি ঘটে।”

ঢাকা/রিশাদ/মেহেদী

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়