ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৯ জুন ২০২৫ ||  আষাঢ় ৫ ১৪৩২

ঢাবিতে জুলাই বিপ্লব পরবর্তী দক্ষিণ এশিয়ায় নিরাপত্তা-বিষয়ক সেমিনার

ঢাবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:০৩, ১৯ মে ২০২৫  
ঢাবিতে জুলাই বিপ্লব পরবর্তী দক্ষিণ এশিয়ায় নিরাপত্তা-বিষয়ক সেমিনার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ‘দ্য জুলাই রেভ্যুলেশন অ্যান্ড বিয়ন্ড: রিথিংকিং সিকিউরিটি, সাসটেইনেবলিটি অ্যান্ড পিস ইন সাউথ এশিয়া’ শীর্ষক বিশেষ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১৯ মে) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনের মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী অডিটোরিয়ামে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ এ সেমিনারের আয়োজন করে।

এতে মূল বক্তা ছিলেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমান। সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন। সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন এবং সঞ্চালনা করেন ঢাবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. শরীফুল ইসলাম। 

আরো পড়ুন:

ঢাবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক নাছিমা খাতুনের সভাপতিত্বে অন্যদের মাঝে বক্তব্য দেন, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল লতিফ মাসুম, ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক তৈয়েবুর রহমান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান মেজবা-উল-আযম সওদাগর, ঢাবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, জবির শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক শাহনেওয়াজ খান চন্দন প্রমুখ।

বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমান বলেন, “নদীতে সাড়ে ৪ হাজার বাঁধ নির্মাণ করেছে ভারত। আমি নিশ্চিত, ভারত আমাদের পানি দেবে না। নিতে গেলে যুদ্ধ করতে হবে। জাতিকে যদি মাথা উচু করে বাঁচতে হয়, পানিকে আশির্বাদে রুপান্তর করতে হবে।”

‘ইমারত মডেল’ নামক ধারণা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “নিচু অঞ্চলে বহুতল ভবন নির্মাণ করা যেতে পারে। নিচতলা ফাঁকা রেখে ওপরে বসবাস করতে হবে। বন্যার পানি ব্যবহার করতে হবে। আবাদী জমিতে মাছের ঘেরের মতো করে বন্যার পানি আটকে রাখতে হবে; এটাও বিনিয়োগ। বন্যার পানি দিয়ে মাছ চাষ হবে। এছাড়াও পানি ধরে রেখে সেচের পানি হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। আমরা ফ্লাড-ট্যুরিজম করতে পারি। যতই ব্যয়বহুল হোক, এতে সারাদেশ যুক্ত করতে পারলে বাংলাদেশকে আমরা আয়বর্ধক দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পারব।”

ভারতের পানি আগ্রাসনের হুমকি জাতির অস্তিত্বের জন্য হুমকি উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা হিমালয়ের ড্রেনেজ সিস্টেমের অংশ। পানি বাংলাদেশের ওপর দিয়ে যায়। পানি পলি মাটি আনে। এতে ভূমির ক্ষয় রোধ হয়। পলি জমে সমুদ্রে নতুন ভূমি জেগে উঠছে। কাজেই বন্যা আমাদের জন্য আশির্বাদ হতে পারে। তবে এখন এটা আমাদের জন্য ধ্বংসের বিষয়। পরিকল্পনা করে এগোলে আমরা শুধু বন্যার হাত থেকে বাঁচবো না, ভবিষ্যতে উন্নত দেশ হয়ে উঠব।”

এ সময় দারিদ্র্য বিমোচনে তিনি গ্রামের রাস্তার ধারে পরিকল্পিতভাবে খেঁজুর ও তালগাছ রোপণের প্রস্তাব দেন।

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন বলেন, “ভারত ভাবে, ওরা আমাদের দেশ স্বাধীন করেছে। তারপর দেশটা আমাদের গিফট করেছে। এগুলো শুনলে মাথায় রক্ত উঠে যায়। আমরা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। জুলাইয়ে ছাত্ররাসহ আমরা রাস্তায় নামি। ছাত্রদের ভূমিকার জন্য ওদের ধন্যবাদ দেই। তাদের জন্যই আমরা এখন সবার বিরুদ্ধে কথা বলতে পারি।”

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়