‘হাবুর স্কলারশিপ’

গত ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহায় প্রচার হয় সাত পর্বের ধারাবাহিক নাটক ‘হাবুর স্কলারশিপ’। নাটকটি প্রচারের পর দর্শকদের কাছ থেকে দারুণ সাড়া মেলে। দর্শক চাহিদা বিবেচনা করে এবার নির্মিত হয়েছে দীর্ঘ ধারাবাহিক। আল হাছেন পরিচালিত এ নাটকের প্রথম পর্ব আগামীকাল রাত ৮টা ৪০ মিনিটে বৈশাখী টিভিতে প্রচার হবে। সপ্তাহে মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতিবার একই সময়ে প্রচার হবে এটি।

টিপু আলম মিলনের গল্পে নাটকটির চিত্রনাট্য রচনা করেছেন আহসান আলমগীর। গত দুই সিজনে নাটকটিতে অভিনয় করেন তানজিকা আমিন, অলিউল হক রুমি, শফিক খান দিলু, হায়দার আলী, সাইকা আহমেদ, রাশেদ সীমান্ত প্রমুখ। এবার ধারাবাহিকে নতুন করে যুক্ত হয়েছেন অহনা রহমান, মৌসুমী হামিদ, নীলা ইসলামসহ একঝাঁক তারকা।

টিপু আলম মিলন বলেন, ‘হাবুর স্কলারশিপ নাটকের গল্পটি মূলত মেধা পাচারকে কেন্দ্র করে। আমরা প্রতিনিয়ত দেখি, শত শত মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী বিদেশে পড়তে গিয়ে আর ফিরে আসে না। এভাবেই দেশটি মেধাশূন্য হয়ে যাচ্ছে। তারা যদি ফিরে এসে নিজের মেধাকে দেশের উন্নয়নে কাজে লাগাতো, তাহলে দেশ অনেক উপকৃত হতো। কিন্তু তা হচ্ছে না। মেধাবীরা অনেক সুযোগ-সুবিধার লোভে প্রবাসেই থেকে যাচ্ছে। বিষয়টি আমাকে ভীষণভাবে তাড়িত করে। মূলত এমন ভাবনা থেকেই হাবুর স্কলারশিপ নাটকের গল্প রচনা করা।’

নাটকের কাহিনি কিছুটা ব্যাখ্যা করে টিপু আলম মিলন বলেন, ‘নাটকের গল্পে নায়ক হাবিবুর রহমান হাবু। বাংলাদেশের এক প্রত্যন্ত অঞ্চলে তার বাস। সে অনেক মেধাবী। মেধার কারণেই সে বৃত্তি নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় যায়। সেখানে পড়াশোনা শেষ করে। যে বিশ্ববিদ্যালয়ে সে পড়াশোনা করে সেখানকার সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়ে টপার হয়। তাকে নিয়ে রীতিমতো হইচই পড়ে যায়। তার চারপাশে তখন সোনালি স্বপ্নের হাতছানি। কার আগে কে তাকে তাদের করে নেবে এ নিয়ে চলে তুমুল প্রতিযোগিতা। হাবু চাইলেই তার জীবনকে সুখের স্বর্গ বানাতে পারে। কিন্তু না! হাবু সবকিছুকে উপেক্ষা করে নিজের মেধাকে দেশের কাজে লাগানোর জন্য ফিরে আসে। দেশের উন্নয়নে নিজেকে নিবেদিত করে। হাবুর মতো সব মেধাবী যাতে দেশে ফিরে দেশপ্রেমে নিজেদের নিয়োজিত করে, দেশকে ভালোবাসে, এ নাটকের মাধ্যমে সে বার্তাই দিতে চেয়েছি।’