ঢাকা     শুক্রবার   ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ||  ফাল্গুন ১ ১৪৩১

বাপ্পারাজের ‘হেনা’ নাঈমের ঘরে

বিনোদন ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৩২, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫   আপডেট: ০৮:২৪, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
বাপ্পারাজের ‘হেনা’ নাঈমের ঘরে

‘প্রেমের সমাধি’ সিনেমার পোস্টার, বিয়ের সাজে শাবনাজ-নাঈম

“চাচা, বাড়িঘর এত সাজানো কেন? আর হেনা কোথায়?” বাপ্পারাজের এসব প্রশ্নের জবাবে আনোয়ার হোসেন বলেন, “হেনার বিয়ে হয়ে গেছে।” প্রিয় মানুষকে জীবন থেকে হারানোর খবরটি শুনে ভীষণ ভেঙে পড়েন বাপ্পারাজ। এরপর বেজে উঠে ‘প্রেমের সমাধি’ গানটি। নেট দুনিয়ায় ভাইরাল ভিডিও ক্লিপে এমন দৃশ্য দেখা যায়।

গত কয়েক দিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভেসে বেড়াচ্ছে ভিডিও ক্লিপটি। ভাইরাল ভিডিওটি ‘প্রেমের সমাধি’ সিনেমার অংশবিশেষ। ১৯৯৬ সালে সিনেমাটি নির্মাণ করেন ইফতেখার জাহান। সিনেমাটিতে ‘হেনা’ চরিত্রে অভিনয় করেন চিত্রনায়িকা শাবনাজ। আর ‘বকুল’ চরিত্রে অভিনয় করেন বাপ্পারাজ।

এদিকে, ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে একটি ফটোকার্ড। যাতে শাবনাজের স্বামী নাঈমকে দেখা যায়। তাতে লেখা রয়েছে— “বিশ্বাস করুন, হেনা আমার কাছে।” সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিও এবং ফটোকার্ডটি নাঈম-শাবনাজেরও নজরে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেছেন চিত্রনায়ক নাঈম ও শাবনাজ।

আরো পড়ুন:

কথার শুরুতে নাঈম বলেন, “এই সিনেমা যখন নির্মিত হয়েছে, তার আগেই হেনা আমার হয়ে গেছে।”

সিনেমা মুক্তির ২৯ বছর পরও মানুষের ভালোবাসায় অভিভূত নাঈম। তিনি বলেন, “১৯৯৬ সালের সিনেমা ‘প্রেমের সমাধি’। তার আগেই আমার ও শাবনাজের বিয়ে হয়ে গেছে। সিনেমা মুক্তির এত বছর পরও কয়েক প্রজন্মের মানুষ তাদের অভিনয় নিয়ে কথা বলছেন; অভিনয়শিল্পীকে নিয়ে কথা বলছেন। সেই দৃশ্যের সঙ্গে একাত্ম হচ্ছেন। বিনোদিত হচ্ছেন। তাদের সময়কে রাঙিয়ে তুলছেন, তা–ও এত বছর পর। শিল্পীর জন্য এটাই তো অনেক বড় বিষয়।”

নাঈম-শাবনাজের ৩১ বছরের দাম্পত্য জীবন। তাদের সংসার আলো করে জন্ম নিয়েছে দুই কন্যাসন্তান। একজন দেশের বাইরে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ চুকিয়েছেন। আরেকজন দেশে পড়াশোনা করছেন। ভাইরাল ভিডিওটি তারকা দম্পতির দুই কন্যারও নজর কেড়েছে। এ তথ্য জানিয়ে নাঈম বলেন, “আমাদের বাচ্চারাও ভীষণ মজা পাচ্ছে। সবাই মিলে আমরা ভীষণ উপভোগ করছি।”

নাঈমের স্ত্রী অর্থাৎ পর্দার ‘হেনা’ নেটিজেনদের উন্মাদনা দেখে উচ্ছ্বসিত। এ বিষয়ে শাবনাজ বলেন, “আমি আর বাপ্পা ভাই তো খুব মজা নিচ্ছি। তবে ভালো লাগছে, মানুষ যে সিনেমাটির কথা এখন আবার মনে করছে। নায়ক-নায়িকার আবেগ-অনুভূতির সঙ্গে নিজেরা কানেক্ট করতে পারছেন। সিনেমাটি তখনো প্রশংসিত হয়েছে; এখনো প্রশংসিত হচ্ছে। একজন অভিনয়শিল্পী হিসেবে এটা তো অনেক বড় পাওয়া।”

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়