ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ০৯ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২৬ ১৪৩১

লঞ্চে আগুন: ঢাকার চিকিৎসক দল বরিশালে 

নিজস্ব প্রতিবেক, বরিশাল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৩৩, ২৫ ডিসেম্বর ২০২১   আপডেট: ১২:৩৮, ২৫ ডিসেম্বর ২০২১
লঞ্চে আগুন: ঢাকার চিকিৎসক দল বরিশালে 

ঢাকা থেকে সাত সদস‌্যের চিকিৎসক দল গেছে বরিশালে

ঝালকাঠিতে লঞ্চে আগুন লাগার ঘটনায় দগ্ধদের চিকিৎসা দিতে বরিশালে গেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট এবং ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা। 

শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই তারা বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতাল ভর্তি রোগীদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন।

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম রাইজিংবিডিকে এ তথ‌্য নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নির্দেশে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট থেকে পাঁচ জন ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ থেকে দুই জন চিকিৎসক বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এসেছেন। তারা এখানে বর্তমানে চিকিৎসারত ৪৬ রোগীকে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন।’

এদিকে, বেলা ১১টায় রোগীদের পর্যবেক্ষণ শেষে মেডিক্যাল টিমের প্রধান শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ডা. নুরুল আলম বলেন, ‘আমরা আজকে রোগীদের পর্যবেক্ষণ করবো। প্রয়োজন হলে আজকেই জরুরি অপারেশন করবো। এ কারণে অপারেশন থিয়েটার প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। এখানেই প্লাস্টিক সার্জারি সম্ভব। যাদেরটা সম্ভব নয়, তাদের ঢাকায় নেওয়া হবে।’

মেডিক্যাল টিমের অন‌্য সদস‌্যরা হলেন— শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ডা. মাসরুর উর রহমান, রেজিস্ট্রার ডা. মোরশেদ কামাল, ডা. মৃদুল কান্তি সরকার, ডা. শাওন বিন রহমান। এছাড়া, রয়েছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের দুই চিকিৎসক আল মোনতাসির বিল্লাহ ও ইসতিয়াক সুলতান।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার ভোর ৫টা থেকে শনিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৮১ জন ভর্তি হন। এরমধ্যে ১৯ রোগীকে ঢাকা পাঠানো হয়। পথে এক শিশু মারা গেছে। এছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ রোগী সুস্থ হয়েছেন। এখন ৪৬ রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। এর মধ্যে পাঁচ জন শিশু। তিন জন ভর্তি আছেন আইসিইউতে। পাঁচ জনের হাত-পা ভেঙে যাওয়ায় তারা অর্থপেডিক্স বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং দগ্ধ ৩৩ জন সার্জারি বিভাগে আছেন।

উল্লেখ‌্য, ২৩ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনার উদ্দেশে যাওয়া এমডি অভিযান-১০ নামের লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অনেকে। নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে। পুড়ে যাওয়া লঞ্চটিতে কতজন যাত্রী ছিলো তার সঠিক তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) জানিয়েছে, লঞ্চটিতে প্রায় ৪০০ যাত্রী ছিলো। তবে লঞ্চ থেকে প্রাণে বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের অনেকে বলছেন, নৌযানটিতে যাত্রী ছিলো ৮০০ থেকে এক হাজার জন।

জে. খান স্বপন/ইভা 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়