ঢাকা     রোববার   ১৯ মে ২০২৪ ||  জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

ট্রলারে ১০ লাশ: রিমান্ড শেষে কাউন্সিলর খায়েরের স্বীকারোক্তি

কক্সবাজার প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৩৪, ১০ মে ২০২৩  
ট্রলারে ১০ লাশ: রিমান্ড শেষে কাউন্সিলর খায়েরের স্বীকারোক্তি

খায়ের হোসেন

কক্সবাজারের নাজিরারটেক উপকূলে ট্রলার থেকে ১০ জনের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ৩ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন মহেশখালী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর খায়ের হোসেন। মঙ্গলবার (৯ মে) বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত টানা দুই ঘণ্টা তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন কক্সবাজার সদরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্রীজ্ঞান তঞ্চঙ্গ্যা।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কক্সবাজার সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক দুর্জয় বিশ্বাস জানান, গত শুক্রবার রাতে মহেশখালী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর খায়ের হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন দুপুরে কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসাদ উদ্দিন মো. আসিফের আদালতে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে তাকে হাজির করা হয়। বিচারক তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে গতকাল মঙ্গলবার আদালতে নেওয়া হলে সেখানে কাউন্সিলর খায়ের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

জবানবন্দিতে কাউন্সিলর খায়ের হোসেন কী বলেছেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে কাউন্সিলর কী বলেছেন আমি জানি না। ওটা আদালত ভালো জানেন। এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে আদালত সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানান পরিদর্শক দুর্জয় বিশ্বাস। 

তিনি বলেন, এই মামলায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি সংক্রান্ত একটি সংবাদ জাতীয় একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে বলে আদালতের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যা উচিত ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন বিচারক। মামলার নথি সংরক্ষণে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করার নিদের্শ দিয়েছেন আদালত। 

১০ লাশ উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গত ৪ এপ্রিল আসামি গিয়াস উদ্দিন মুনির আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। যেখানে আসামি জানিয়েছেন, সাগরে নিহত ১০ জনই জেলে বেশে ডাকাত ছিলেন। তারা পরিকল্পিতভাবেই সাগরে জেলের বেশে নেমেছিলেন ডাকাতি করার জন্য। যার মধ্যে চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের কবির হোসাইনের ছেলে সাইফুল ইসলামকে মুনির সামশু মাঝির ট্রলারে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় কাউন্সিলর খায়েরও জড়িত। এরপরই তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

গিয়াস উদ্দিন মুনির চকরিয়ার বদরখালী এলাকার মো. নুর নবীর ছেলে। এর আগে আসামি বাঁশখালীর বাসিন্দা ফজল কাদের মাঝি ও আবু তৈয়ুব মাঝি এবং মাতারবাড়ির কামাল হোসেন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। 

গত ২৩ এপ্রিল সাগরে ভাসমান একটি ট্রলার থেকে হাত-পা বাঁধা ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করে প্রশাসন।

তারেকুর/ মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়