ঢাকা     সোমবার   ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ১ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লাশ নিয়ে স্বজনদের থানায় অবস্থান

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:১২, ২৯ নভেম্বর ২০২৫   আপডেট: ১০:১৬, ২৯ নভেম্বর ২০২৫
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লাশ নিয়ে স্বজনদের থানায় অবস্থান

সাদ্দাম হোসেনের লাশ নিয়ে থানার সামনে অবস্থান করেন স্বজনরা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা সাবেক ছাত্রদল নেতা সাদ্দাম হোসেনের লাশ নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন স্বজনরা। মামলা নেওয়ার দাবিতে থানা চত্বরে লাশ রেখে অবস্থান করেন তারা। 

শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৫টা ৪০ মিনিট থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত অবস্থান করে মামলা এফআইআর করার পর থানা ছেড়ে যান অবস্থানকারীরা। 

নিহত সাদ্দাম হোসেন (৩৫) সদর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য। তিনি শহরের কান্দিপাড়ার মাইমলহাটির মোস্তফা কামাল ওরফে মস্তুর ছেলে। তার স্ত্রী এবং সাত ও দুই বছরের দুটি মেয়ে আছে। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কান্দিপাড়ার বাসিন্দা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন ও একই এলাকার বাসিন্দা সদর উপজেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিল সিকদারের মধ্যে সম্প্রতি ভারতীয় চোরাচালান শাড়িসহ বিভিন্ন পণ্যের ব্যবসা নিয়ে বিরোধ চলছিল। 

এর জেরে বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে কান্দিপাড়ার মাদ্রাসার রোডে পপুলার প্রেসের সামনে গুলির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার ভিডিও ফুটেজে শাকিল সিকদারকে বন্দুক হাতে গুলি করতে দেখা যায়। এতে কান্দিপাড়ার টুটুল মিয়া (৪৬), শিহাব উদ্দিন ওরফে সোয়েব (২৭) ও মো. সানজু (২২) গুলিবিদ্ধ হন। উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়।

নিহত সাদ্দামের বাবা মোস্তফা কামাল বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে সাদ্দাম বাসায় ভাত খাচ্ছিল। তখন দেলোয়ার হোসেন, তার সহযোগী পলাশ ও বাবুল মিয়া বাড়ি থেকে সাদ্দামকে ডেকে নিয়ে যায়। রাত দুইটার দিকে সাদ্দাম গুলিবিদ্ধ হয়েছে শুনতে পাই। কান্দিপাড়ার শংকর শাহবাড়ির পাশের খালপাড় নতুন সেতুর ওপরে গিয়ে দেখি, দুজন সাদ্দামকে টানাহেঁচড়া করে তোলার চেষ্টা করছে। তাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।”

তিনি আরো বলেন, “সাদ্দামের বুকে গুলির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার গলায় ওড়না প্যাঁচানো ছিল। ওড়না খুলে বুঝতে পারি, ছেলেকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। দেলোয়ার হোসেন, বাবুল ও পলাশ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। তারা প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে এ কাজ করেছে।’’

এদিকে ময়নাতদন্ত শেষে শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। স্বজনরা নিহতের লাশ নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা দেলোয়ার হোসেনসহ জড়িতদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন। একপর্যায়ে তারা লাশ নিয়ে সদর থানায় যান। থানা চত্বরের নিয়ামতের লাশ রেখে তারা মামলার দাবিতে অবস্থান করেন। থানার ফটকের বাইরে স্বজনদের আত্মীয়-স্বজন ও এলাকার লোকজন জড়ো হন।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম বলেন, “তারা মামলার জন্য অপেক্ষা করছিল। এজাহার জমা দেওয়ার পর মামলা রুজু করা হয়েছে। পরে তারা ফিরে গেছেন।”

ঢাকা/পলাশ/এস

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়