ঢাকা     শনিবার   ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৫ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

রুপালি পর্দার আড়ালে ভুলু বারীর অন্ধকার জীবন

রাহাত সাইফুল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:২৬, ৫ জুলাই ২০২১   আপডেট: ১৬:০৯, ৫ জুলাই ২০২১
রুপালি পর্দার আড়ালে ভুলু বারীর অন্ধকার জীবন

করোনার ঊর্ধ্বমুখি সংক্রমণ ঠেকাতে কঠোর লকডাউন, চলচ্চিত্রের শুটিং বন্ধ ইত্যাদি কারণে ভীষণ অভাব-অনটনে দিন কাটাচ্ছেন অভিনেত্রী ভুলু বারী। তিনি বাংলাদেশের প্রথম সবাক চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’-এর অভিনেত্রী বিলকিস বারীর মেয়ে।

বর্তমান অবস্থা জানতে চাইলে ভুলু বারী বলেন, ‘অবস্থা খুব করুণ! সিনেমার কাজ থাকলে কিছু টাকা পাওয়া যায়। কাজ না থাকলেও এফডিসিতে গেলে অনেকে সহযোগিতা করেন। এবার তো বাসা থেকেই বের হতে পারছি না। তাছাড়া এফডিসিতেও এখন কেউ নেই। খুবই খারাপ সময় যাচ্ছে।’

ভুলু বারী সর্বশেষ ‘লিডার, আমিই বাংলাদেশ' সিনেমায় কাজ করেছেন। এখন বাসায় আছেন। এখন পর্যন্ত কোনো সহযোগিতা পাননি জানিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘আর কিছুদিন এমন থাকলে উপোষ থাকতে হবে।’

নয় বছর বয়সে ‘ডাকবাবু’ সিনেমায় নৃত্যশিল্পী হিসেবে অভিনয় করেন ভুলু বারী। জহির রায়হানের ‘সংসার’, ‘পদ্মা নদীর মাঝি’, ‘রহিম রূপবান’সহ অসংখ্য সিনেমায় পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। কিন্তু এখন চলচ্চিত্রের সেই সুদিন নেই। কাজের জন্য খুব বেশি ডাক পান না তিনি। ফলে সংসারে নিত্য অভাব। প্রথমে পরিচিতজনদের কাছ থেকে ধারদেনা করে কোনো রকমে সংসার চালাতেন। অভিনেত্রী হওয়ার কারণে লোক লজ্জার ভয়ে রাস্তা-ঘাটে হাত পাতেন না। এফডিসির ভেতরে প্রযোজক, পরিচালক, শিল্পীদের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে চলেন। কিন্তু করোনার কারণে এফডিসি’র সব কাজ বন্ধ থাকায় ৬০ বছর বয়সি ভুলু বারী চোখে-মুখে অন্ধকার দেখছেন।

ভুলু বারী বলেন, ‘আমার মা খুব কষ্ট করে জীবন যাপন করেছে। মানুষের কাছে ভিক্ষা করে টাকা এনে আমাদের বড় করেছে। শেষ জীবনে সে ভিক্ষা করেই ২০০৩ সালে মারা গেছে। আমার কপালেও হয়তো তাই লেখা আছে।’

রুপালি পর্দার আলোর ঝলকানির আড়ালে ভুলু বারীর জীবনের অন্ধকার কারো চোখে পড়ে না। অথচ এফডিসিতে এমন অনেক ভুলু বারী রয়েছেন যারা শুটিং না-হলে খাবার সংগ্রহ করতে পারেন না। এবার তাদের পাশে দাঁড়ানো দরকার।

ঢাকা/তারা

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়