ঢাকা     বুধবার   ০৮ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

রায়হান হত্যা: কনস্টেবল হারুন কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৫৬, ১ নভেম্বর ২০২০   আপডেট: ১৯:০৩, ১ নভেম্বর ২০২০
রায়হান হত্যা: কনস্টেবল হারুন কারাগারে

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর বাজার ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হান আহমদ নিহতের মামলায় দুই দফায় আট দিন রিমান্ড শেষে সাময়িক বরখাস্ত কনস্টেবল হারুনুর রশীদকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
 
প্রথম দফায় পাঁচ দিন এবং দ্বিতীয় দফায় তিন দিনের রিমান্ড শেষ হওয়ায় আজ রোববার (০১ নভেম্বর) বিকেলে তাকে সিলেটের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমানের আদালতে হাজির করে পিবিআই।

এ সময় আদালতে স্বীকারোক্তি না দেওয়ায় শুনানি শেষে বিচারক তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি-প্রসিকিউশন) অমূল্য কুমার চৌধুরী।
 
আলোচিত এ মামলায় ওই ফাঁড়ির প্রত্যাহারকৃত এএসআই আশিক এলাহীও পাঁচ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। দুই দফায় আট দিনের রিমান্ড শেষে অপর কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাসকেও গত ২৮ অক্টোবর জেল হাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।
 
গত ১১ অক্টোবর ভোরে বন্দর বাজার পুলিশ ফাঁড়িতে রায়হানের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার। পরে ওই ফাঁড়ি ইনচার্জসহ চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত এবং তিন জনকে প্রত্যাহার করা হয়। মামলাটি এখন তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। 
 
সাময়িক বরখাস্তকৃতরা হলেন, ফাঁড়ি ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) তৌহিদ মিয়া, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাশ ও হারুনুর রশীদ। আর প্রত্যাহার করা তিন জন হলেন, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আশিক এলাহী, এএসআই কুতুব আলী ও কনস্টেবল সজীব হোসেন।
 
এছাড়া ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেনকে পালাতে সহায়তা এবং তথ্য গোপনের অভিযোগে গত ২০ অক্টোবর ফাঁড়ির এসআই হাসান উদ্দিনকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।  এখন পর্যন্ত এসআই আকবর পলাতক রয়েছেন। গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে তিনজনকে। আর অন্যরা পুলিশের হেফাজতে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনে আছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

নোমান/বকুল 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়