ঢাকা     সোমবার   ১০ নভেম্বর ২০২৫ ||  কার্তিক ২৬ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

মার্কিন পর্যটকদের ওপর ১০ হাজার ডলার ভিসা বন্ড আরোপ করল মালি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:০৮, ১৩ অক্টোবর ২০২৫   আপডেট: ১০:১১, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
মার্কিন পর্যটকদের ওপর ১০ হাজার ডলার ভিসা বন্ড আরোপ করল মালি

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালি ঘোষণা দিয়েছে যে, এখন থেকে দেশটিতে ভ্রমণ বা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে প্রবেশ করতে ইচ্ছুক মার্কিন নাগরিকদের ১০ হাজার ডলার জামানত বা বন্ড দিতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন মালিসহ আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশের নাগরিকদের ওপর একই ধরনের শর্ত আরোপের প্রতিক্রিয়ায় পাল্টা এই পদক্ষেপ নিয়েছে মালি। খবর বিবিসির।

আরো পড়ুন:

মালিতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস শুক্রবার (১০ অক্টোবর) এক ঘোষণায় বলেছিল, ওয়াশিংটনের ‘আমেরিকার সীমান্ত রক্ষা ও মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার প্রতিশ্রুতি’ জোরদার করার জন্য এই ফি চালু করা হয়েছে।

মালির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রবিবার (১২ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে জানায়, “যুক্তরাষ্ট্র এই বন্ড একতরফাভাবে আরোপ করেছে, তাই আমরা মার্কিন নাগরিকদের জন্য একই ধরনের ভিসা কর্মসূচি চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

এই নতুন ভিসা নীতি দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের চলমান প্রচেষ্টার মধ্যেই এসেছে। গত জুলাই মাসে মার্কিন কর্মকর্তারা মালি সফর করেছিলেন সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতা ও অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব নিয়ে আলোচনা করতে- বিশেষ করে মালির সোনা ও লিথিয়াম খনির সম্ভাবনা নিয়ে।

২০২১ সালে একটি অভ্যুত্থানের পর মালির সেনা প্রধান জেনারেল আসিমি গোইতা ক্ষমতা দখল করলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। জিহাদিদের ক্রমবর্ধমান বিদ্রোহ দমন করার জন্য জেনারেল আসিমি রাশিয়ার দিকে ঝুঁকি পড়েন। 

তিনি ফরাসি সেনাদের দেশ থেকে বহিষ্কার করেন এবং রুশ ভাড়াটে যোদ্ধা সংগঠন ওয়াগনার গ্রুপকে দেশে আনার অনুমতি দেন। বর্তমানে সেই বাহিনীকে ‘আফ্রিকা কর্পস’ নামের একটি নতুন কাঠামো প্রতিস্থাপন করেছে।

শুধু মালি নয়, সাম্প্রতিক সময়ে অন্যান্য পশ্চিম আফ্রিকান দেশেও মার্কিন অভিবাসী নীতি নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। গত সপ্তাহে বুরকিনা ফাসোর সামরিক সরকার যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো অভিবাসী প্রত্যাবাসন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে, যার জবাবে ওয়াশিংটন দেশটিতে ভিসা ইস্যু স্থগিত করে।

বুরকিনা ফাসোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী কারামোকো জ্যাঁ-মারি ত্রাওরে প্রশ্ন তোলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত ‘ব্ল্যাকমেইল’ কিনা। তিনি বলেন, “আমরা তৃতীয় দেশের অভিবাসীদের গ্রহণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছি- এ কারণেই কি তারা আমাদের ওপর এই চাপ দিচ্ছে?”

ট্রাম্প প্রশাসন অভিবাসন বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়িত করার জন্য আফ্রিকান দেশগুলোকে একটি সম্ভাব্য গন্তব্য হিসেবে বিবেচনা করছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়