ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৫ মে ২০২৫ ||  জ্যৈষ্ঠ ১ ১৪৩২

দিনাজপুরে পথেঘাটে গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে খেজুর

দিনাজপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:১৬, ২০ এপ্রিল ২০২৫   আপডেট: ১৬:৩৫, ২০ এপ্রিল ২০২৫
দিনাজপুরে পথেঘাটে গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে খেজুর

দিনাজপুরে রাস্তার পাশে গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে খেজুর

দিনাজপুরে রাস্তার পাশে, খালে-বিলে এবং বাড়ির আনাচে-কানাচে গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে কাঁচা খেজুর। একসময় রাস্তার ধারে অনেক খেজুর গাছ ছিল। এখন অনেক কমে গেছে। নতুন করে খেজুর গাছের আবাদ করতে দেখা যাচ্ছে না স্থানীয়দের। তবে প্রকৃতির ভারসাম্যের জন্য ও বজ্রপাতের নিরোধক হিসেবে খেজুর গাছের আবাদ বাড়ানো উচিত বলে মনে করছেন তারা।

বছরে দুইবার ফলন আসে খেজুর গাছে, শীতকালে মিষ্টি সুস্বাদু রস, আর গরমকালে খেজুর ফল। 

এসময়ে জেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে বের হলেই চোখে পড়ছে এই খেজুর। এখনই অনেক খেজুরে রঙ ধরেছে। তবে এখনো খাওয়ার উপযোগী হয়নি, এখনও খেতে কষ কষ লাগছে, পাকলে তা মিষ্টি হবে। পাকলে অনেকেই এই পাকা খেজুর বাজারেও বিক্রি করবেন। এখনও প্রায় ২৫ থেকে ৩০ দিন সময় লাগবে খেজুরগুলো পাকতে। 

সরকারি সড়কের পাশের গাছগুলো থেকে খেজুর পেড়ে স্থানীয় ছেলে-মেয়েরা খেতেও শুরু করেছে। 

সদর উপজেলার রামনগর এলাকার রুবেল হোসেন বলেন, “আমার বাড়ির পাশে একটি খেজুরের গাছ রয়েছে। বয়স প্রায় অনেক হয়েছে। শীতকালে প্রতিদিন অনেক রস হতো। এখন গরমের সময় গাছে অনেক খেজুর ধরেছে। খেজুরগুলো কাঁচাপাকা, পাকলে খেতে অনেক মিষ্টি। এখনও এক মাস সময় লাগবে খেজুরে পাক ধরতে।” 

বিরামপুর রেলগট এলাকার আরাফাত মিয়া বলেন, “এই রেলগেটের দক্ষিণ পাশে রেললাইনের দুই পাশে অনেক খেজুরের গাছ রয়েছে। শীতকালে রাজশাহী থেকে কয়েকজন লোক এসে গাছগুলো থেকে রস নামায়। প্রতিদিন অনেক রস হয়। রস থেকে তারা গুড় তৈরি করে এবং এলাকার মানুষের নিকট বিক্রি করে। এখন গরমকাল, প্রতিটি গাছে প্রচুর খেজুর ধরেছে। খেজুরগুলো পাকলে আমরা এলাকার মানুষেরা পেড়ে খাই। খেতে অনেক সুস্বাদু।” 

হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিসার আরজেনা বেগম বলেন, ‍“আমাদের দেশে প্রাকৃতিক নিয়মেই খেজুর গাছ বেড়ে ওঠে। রাস্তা কিংবা রেললাইনের পাশে বেশিরভাগ খেজুর গাছ জন্মায়। আমাদের দেশের আবহাওয়া ভালো হওয়ায়, খেজুর গাছের বাড়তি কোনো যত্নের প্রয়োজন হয় না। পোকামাকড়ের আক্রমণ করে না। বাংলাদেশে বর্তমান সৌদি আরবের বিভিন্ন জাতের খেজুরের চাষ হচ্ছে। আমরা খেজুর বাগান মালিকদের বিভিন্ন পরামর্শ এবং সেবা দিয়ে আসছি।”

ঢাকা/মোসলেম/টিপু 


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়