কেসিসি নির্বাচন: আপিলেও মনোনয়ন বাতিল ৫ প্রার্থীর

খুলনা সিটি করপোরেশন  (কেসিসি) নির্বাচনে ৩ মেয়র ও ২ কাউন্সিলর প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। মঙ্গলবার (২৩ মে) শুনানি শেষে মেয়র প্রার্থী এস এম মুশফিকুর রহমান, মো. আব্দুল্লাহ চৌধুরী ও কামরুল ইসলামের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন আপিল বোর্ড। তবে, আপিল শুনানিতে প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছেন জাকের পার্টির মেয়র প্রার্থী এস এম সাব্বির হোসেন।

এদিকে, শুনানী শেষে কেসিসির ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শমসের আলী মিন্টুর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। এর ফলে ওই ওয়ার্ডে একমাত্র প্রার্থী রয়েছেন জেড এ মাহমুদ ডন। তবে শমসের আলী মিন্টু বলেছেন, তিনি উচ্চ আদালতে প্রার্থীতা ফিরে পেতে আপিল করবেন। 

এছাড়া ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী সৈয়দ হুমায়ুন কবিরের প্রার্থীতাও বাতিল হয়েছে।

মঙ্গলবার আপিল শুনানিতে প্রার্থীতা ফিরে পান জাকের পার্টির মেয়র প্রার্থী এস এম সাব্বির হোসেন এবং ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. ইউসুফ আলী খান ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. জাকির হোসেন। ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী কাজী তালাত হোসেন কাউট হলফনামায় তথ্য গোপন করেছেন-এমন অভিযোগ তুলে তার প্রার্থীতার বৈধতার বিরুদ্ধে আপিল করেও পরে তা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন অপর কাউন্সিলর প্রার্থী শরিফুল ইসলাম।

খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, গত ১৬ মে কেসিসি নির্বাচনে মেয়র পদে ৭জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে  ১৪৯ জন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ৩৯ জনসহ ১৯৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। গত ১৮ মে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে ৪জন মেয়র প্রার্থী ও ১৪ জন কাউন্সিলর প্রার্থীসহ ১৮ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন। গত ২১ মে পর্যন্ত ১৮ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৫ জন প্রার্থীতা ফিরে পেতে আপিল করেন। গত দুই দিনে ১৫ জনের আপিল শুনানি শেষে এক মেয়র প্রার্থীসহ ৭জন প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছেন। এছাড়া ৩জন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীসহ ৮ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। 

আপিলে ৭ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হওয়ায় মঙ্গলবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত ৪ জন মেয়র প্রার্থী, ১৪১ জন সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিল প্রার্থী ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের ৩৯জন কাউন্সিলর প্রার্থীসহ ১৮৪ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে।

খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) ও স্থানীয় সরকার বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আপিল শুনানির দুই দিনে মেয়র পদে এক প্রার্থীসহ ৭ জনের আপিল মঞ্জুর হয়েছে। এছাড়া ৮জনের আপিল নামঞ্জুর হয়েছে। একজনের বৈধতার বিরুদ্ধে আপিল করেও তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। আপিলে যাদের মনোনয়ন নামঞ্জুর হয়েছে, তারা হাইকোর্টে আপিল করতে পারবেন।